গত ১১ এপ্রিল থেকে সুতি, সামশেরগঞ্জের পাশাপাশি ধুলিয়ান থেকেও অসংখ্য মানুষ প্রাণ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়েছিলেন। যার মধ্যে কিছু পরিবার গিয়েছে গিয়েছে ঝাড়খণ্ডের শাহিবগঞ্জে (Sahibganj)। সেখানে একটি স্কুলে আপাতত রাত কাটাচ্ছে কমপক্ষে ১২টি পরিবার। আতঙ্কের ছাপ এখনও তাঁদের মুখে স্পষ্ট। জানা যাচ্ছে, ধুলিয়ানের রানিপুর থেকে  শাহিবগঞ্জের নয়াতলা গ্রাম গিয়েছেন তাঁরা। তবে ধীরে ধীরে এলাকায় শান্তি ফিরেছে শুনে আবার তাঁরা  বাড়ি ফিরবেন বলে জানিয়েছেন।

ধুলিয়ান থেকে পালিয়ে ঝাড়খণ্ডে আশ্রয় নিয়েছে একাধিক পরিবার

এই প্রসঙ্গে এক মহিলা বলেন, "ঘটনার দিন সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল এলাকা। রাতের দিকে আশেপাশের প্রতিবেশীর ঘরে হামলা হচ্ছিল। শুনে পুলিশকে সবটা জানাই। তাঁরা উল্টে বলেন, লড়ার হলে লড়ো নাহলে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাও। আমরা তারপরেই ভয়ে সকলে পালিয়ে যাই। বাড়িতে জিনিসপত্র, গরু, ছাগল সবকিছু রেখেই প্রাণের ভয়ে পালিয়ে আসি। এখন শুনছি পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকেও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে শুনেছি"।

দেখুন ভিডিয়ো

মুর্শিদাবাদের অশান্তি

গত ১১ এপ্রিল থেকে উত্তপ্ত হয় ধুলিয়ান গঙ্গা, সুতি ও সামশেরগঞ্জ সহ একাধিক এলাকা। দফায় দফায় চলে গুলি ও বোমা। মৃত্যু হয় তিনজনের। যার মধ্যে একজন নাবালকও ছিলেন। ঘটনায় আহত হয়েছিলেন অনেকে। এছাড়া অনেকেই ঘরছাড়া হয়ে অন্যত্র রয়েছেন।