প্রতীকী ছবি

নানুর, ২১ অক্টোবর: উদ্ধার হল সিপিএম (CPIM) নেতার (Leader) টুকরো টুকরো দেহাংশ। গত শুক্রবার থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। সোমবার সকালে দুবরাজপুর থেকে সিপিএম নেতাকে টুকরো করে কেটে দেহের কিছুটা অংশ ফেলে দেওয়া হয় জয়দেব নদীতে। বাকিটা পুঁতে ফেলা হয় মাটিতে।

সিপিএম নেতা সুভাষ চন্দ্র দে (Subhas Chandra Dey)-কে শুক্রবার সকালের পর আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। নানুরের (Nanur) সূচপুর গণহত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন তিনি। তিনদিন লাগাতার খোঁজ করার পর এদিনই বিকেলে তাঁর মোটর বাইকটি উদ্ধার হয় নানুরের তৃণমূল নেতা কেরিম খানের বিএড কলেজের সামনে থেকে। এরপরই তোলপাড় শুরু হয়ে যায় এলাকায়। আরও পড়ুন, পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু কর্মরত নার্সের, পিষে দিল দ্রুতগতিতে আসা লরি

বাইকটি খুঁজে পাওয়ার পর নানুর থানায় একটি নিখোঁজ ডাইরি করে সুভাষ চন্দ্রের পরিবার। তাঁর মেয়ে পুলিশকে জানায় তার বাবা শেষবার ফোন করেছিল ইলামবাজার এলাকা থেকে। এরপরই তদন্ত নামে পুলিশ। মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করা হয়। সুভাষবাবুকে শেষবার দেখা গিয়েছে দুবরাজপুরের খোজমহম্মদপুর গ্রামে।

মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই শেষপর্যন্ত খোজ মহম্মদপুরে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করে পুলিস। তাদের জেরা করেই বেরিয়ে এসেছে ভয়ঙ্কর খুনের ঘটনা। জানা যাচ্ছে প্রথমে রড দিয়ে আঘাত করা হয় সুভাষ চন্দ্রকে। তারপর দেহ ধারাল অস্ত্র দিয়ে কেটে টুকরো করে ফেলা হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, যে খুন করেছে তার স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল সুভাষ চন্দ্রর। ঘটনার দিন ওই মহিলার বাড়িতে গিয়েছিলেন সিপিএম কর্মী সুভাষ চন্দ্র দে। সেখানে ওই মহিলার সঙ্গে সুভাষ চন্দ্রকে অসংলগ্ন অবস্থায় দেখে ফেলে মহিলার স্বামী। তারপরই ওই ব্যক্তি লোহার রড দিয়ে সুভাষ চন্দ্রকে আঘাত করে। পরে দেহ টুকরো করে ফেলা হয়। এরপর দেহের কিছু অংশ ফেলে দেওয়া হয় জয়দেব নদীতে। বাকি অংশ পুঁতে ফেলা হয় মাটিতে।