মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Photo Credits: Twitter)

কলকাতা, ৯ জানুয়ারি: ফের শিরোনামে নৈহাটির বিস্ফোরণ। বৃহস্পতিবার নৈহাটিতে আগের দিনের উদ্ধার হওয়া বাজি ও বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করছিল পুলিশ। সেসময় আচমকাই তা প্রবল শব্দে ফাটে। এলাকার বাড়ি ঘর কেঁপে যায়। কয়েকজন পুলিশকর্মী এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। লাগোয়া বস্তির ঝুপড়ির চাল উড়েছে। বাড়ির জানলার কাচ, ড্রেসিং টেবিলের কাচ ভেঙেছে। বেশ কয়েকজন শিশুও আহত হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেন পুলিশ কোনওরকম সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন না করে বোমা নিষ্ক্রিয় করতে গেল তানিয়ে চলছে তরজা। আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা পুলিশের গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এরপর আসরে নামেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (CM Mamata Banerjee)। তিনি জানান, নৈহাটিতে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই বিস্ফোরণের জেরে যাঁদের বাড়িতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাঁদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করবে সরকার। তাঁর কথায়, “একটা কাজ করতে গিয়ে যদি কারও সমস্যা হয়, সেটা দেখা তো আমাদেরই কাজ। আমি বিধায়ক পার্থ ভৌমিককে এলাকায় যেতে বলেছি। জেলাশাসককেও বলেছি। যাঁর যা ক্ষতি হয়েছে, তা দেখে সেই মতো ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নিশ্চয় করা হবে।” আরও পড়ুন-Naihati Blast: নৈহাটিতে বোমা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে ফের বিপত্তি, কাঁপল কাঁচড়াপাড়া থেকে শ্যামনগর(দেখুন ভিডিও)

গত ৩ জানুয়ারি নৈহাটির একটি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল চারজনের। সেই সময় বিস্ফোরণের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে গঙ্গার অন্য পাড়ে চুঁচুড়াতেও কম্পন অনুভূত হয়। উদ্ধার হওয়া বাজি নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে ফের সেই একই ধরনের ঘটনা ঘটল। নৈহাটির রামঘাটে গঙ্গার পাড়ে গত তিন-চার দিন ধরেই বাজি নিষ্ক্রিয় করার কাজ করছিল পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রচণ্ড শব্দ করে বাজিতে বিস্ফোরণ ঘটে যায়। সাদা ধোঁয়া কুণ্ডলী পাকিয়ে ছড়িয়ে পড়ে আকাশে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় দেওয়ালে ফাটল ধরে বেশ কয়েকটি বাড়িতে। এমনকি গঙ্গার অন্য পাড়ে চুঁচুড়াতেও কয়েকটি বাড়ির কাঁচ ভেঙে যায় বলে খবর। উড়ে যায় বেশ কয়েকটি বাড়ির অ্যাজবেস্টসের ছাদ। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নৈহাটির সাইরাজ এলাকা। বিকট আওয়াজে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসিন্দারা। উদভ্রান্তের মতো ছোটাছুটি শুরু করেন তাঁরা।এই ঘটনার পরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যদিও গোটা ঘটনাটিকে তৃণমূলের কারাসাজি বলে কটাক্ষ করেছেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। তাঁর দাবি, যখনই কোথাও বিস্ফোরণ হয়, তখনই তা পুলিশের কাজ বলে চাপিয়ে দেওয়া হয়।