আলিপুরদুয়ারে অভিষেক

কলকাতা, ৩ মে: বাংলায় নীলবাড়ি দখলে বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা যখন দিনের পর দিন দিল্লি থেকে কলকাতা ডেলি প্যাসেঞ্জার করছেন৷ তখন ভোটের ময়দানে একযোগে লড়াই করে চলেছেন পিসি ভাইপো৷ হ্যাঁ, মমতার সমালোচকরা গত ২ মাসে এনিয়ে কম কথা বলেননি, বঙ্গ বিজেপির প্রচারে অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদি, জেপি নাড্ডা, রাজনাথ সিং, স্মৃতি ইরানি, নরেন্দ্র প্রধান, যোগী আদিত্যনাথ, জাভড়েকর, মিঠুন চক্রবর্তী, দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, শুভেন্দু ব্রিগেড যখন জান লড়িয়ে দিচ্ছে৷ তখন কলকাতা থেকে দিনাজপুর, দার্জিলিং থেকে দীঘা৷ কাকদ্বীপ থেকে বনগাঁ, চুঁচুড়া থেকে বোলপুর, আসানসোল থেকে বহরমপুর, পুরুলিয়া থেকে মালদা পিসি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ে চলেছেন ভাইপো অভিষেক (Abhishek Banerjee)৷ আরও পড়ুন-Coronavirus Cases In India: কমল সংক্রমণ, দেশের নতুন করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৪৭

২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির মেগা প্রচারের মাঝে ২০০-রও বেশি জনাদেশ নিয়ে যে জয় আজ তৃণমূলকে সুখী করেছে, তাতে মমতার পরে অভিষেককেই দলের তারকা প্রচারকের মান্যতা দিয়েছে৷ একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরসূরি হিসেবে অভিষেকের উত্থানের বীজও রোপণ হয়ে গেল এর মধ্যে দিয়ে৷ সারদা, নারদা, আম্ফান, কাটমানি, সিন্ডিকেট, সবকিছুর মাঝেই দিল্লির কর্তারা বারবার মমতার সরকারকে পক্ষপাতদুষ্ট প্রমাণ করতে ভাইপো অভিষেককেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন৷ এর মধ্যে স্ত্রী রুজিরাকে কয়লা পাচার কাণ্ডে জেরা করতে অভিষেকের বাড়িতে চলে গেছে সিবিআই৷ শ্যালিকাকেও টানতে ছাড়েনি৷ গত দুমাসে গেরুয়া শিবিরের প্রচার মঞ্চ মানেই ছিল ভাইপোকে তুলোধনা৷ অভিষেক এতে দমে না গিয়ে ঢাল হয়ে সেই আক্রমণ সামলেছেন৷ নির্বাচনে না লড়েও বহিরাগত ইস্যুকে সামনে রেখে দলবদলুদের গদ্দার আখ্যা দিয়ে আসল খেলাটা খেলে দেখালেন৷

মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, “যতই নাড়ো কলকাঠি, নবান্নে আবার হাওয়াই চটি৷” বিজেপির মেগা শিবিরের মুহুর্মুহু আক্রমণের সামনে জনতার উপর থেকে একবারের জন্যেও বিশ্বাস হারাননি৷ পিসি মমতাও ভাইপোকে পাশে নিয়ে অমিত শাহের কটাক্ষের জবাব ফিরিয়ে বলেছেন৷ অভিষেকের বিরুদ্ধে রাজনীতির ময়দানে নেমে লড়াই করে জেতার চ্যালেঞ্জও ছুঁড়েছেন৷ তাইতো দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩১টি বিধানসভার মধ্যে ৩০টিতে জোড়াফুল শিবিরকে ভালবাসা উপুড় করে দিয়েছে মানুষ৷ বিজেপির বিষোদ্গারেও অমলিন থেকে গেছেন অভিষেক৷ বরং এই বিরুদ্ধ প্রচারের মুখে পড়েও নিজেকে সোজা রেখে পোড় খাওয়া রাজনীতিকের তালিকায় নাম লিখিয়ে ফেললেন যুব তৃণমূলের সভাপতি৷