গত সোমবার নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে বাংলার জন্য এসআইআর ঘোষণা হয়। ঘোষণার পর এসআইআর আতঙ্কে দুই বঙ্গে দুটি ঘটনা ঘটেছে। একদিকে দক্ষিণবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার আগরপাড়ায় আত্মহত্যা করেছেন প্রদীপ কর নামে এক ব্যক্তি। অন্যদিকে, বুধবারই দিনহাটায় এক বৃদ্ধ বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। দুটি ঘটনার নেপথ্যেই রয়েছে এসআইআর। আগামী ৪ নভেম্বর রাজ্যজুড়ে এসআইআর শুরু হওয়ার কথা। তার আগে এসআইআর আতঙ্কে আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটছে। এই নিয়ে এবার আসরে নেমেছে তৃণমূল। গত মঙ্গলবার সামাজিক মাধ্যমে এই নিয়ে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে আক্রমণ অভিষেকের
এদিকে বুধবার আগরপাড়ায় মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এদিন দুপুর ৩টে নাগাদ আগরপাড়ায় পৌঁছন অভিষেক। পরিবারের সঙ্গে দেখা করে খোলা মঞ্চে দাঁড়িয়ে কেন্দ্র সরকার ও জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করেন অভিষেক। তিনি বলেন, “এসআইআর ঘোষণার পর আগরপাড়া ও দিনহাটা যে ঘটনা ঘটেছে, তারজন্য দায়ী যদি কেউ হয়, তাহলে সে হলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। গত সোমবার ঘোষণার পর ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দুটি ঘটনা ঘটেছে। আজ প্রদীপ করের বাড়িতে এসেছি। উনি মৃত্যুর আগে সুইসাইড নোটে স্পষ্টভাবে লিখেছেন তাঁর মৃত্যুর জন্য এসআইআর ও এনআরসি দায়ি। ফলে এরজন্য দায়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার”।
দেখুন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য
#WATCH | Kolkata, West Bengal | TMC National General Secretary and MP Abhishek Banerjee says, "...You all know the incident that happened yesterday in the name of SIR, and you all know about what happened today in Dinhata. If anyone is to be held responsible for this, it is the… pic.twitter.com/aXE37Fu3qG
— ANI (@ANI) October 29, 2025
প্রদীপ করের মৃত্যু নিয়ে বাড়ছে রহস্য
অন্যদিকে প্রদীপ করের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ২০০২ সালে ভোটার লিস্টে প্রদীপ করের নাম রয়েছে। ওনার সব নথি বৈধ। তারপরেও এই আত্মহত্যা কেন। এদিকে পরিবারের সদস্যদের দাবি, ৬৫ বছর বয়সী প্রদীপ করের ডান হাতের চারটি আঙুল নেই। ৮০ সালের আগে একটি দুর্ঘটনায় তাঁর আঙুল বাদ যায়। তারপরে থাওয়া-দাওয়া সবকিছু করলেও কখনও তাঁরা লিখতে দেখেননি। সেই মানুষ কীভাবে সুইসাইড নোট লিখল, এটাই এখন বড় প্রশ্ন পরিবারের কাছে।