মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়( PTI)

কলকাতা, ৯ জুলাই:  তৃণমূলের ঘর ওয়াপসি? হ্যাঁ দিবাস্বপ্ন নয় এমনটাই ঘটেছে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া আট জন কাউন্সিলর ফের ঘরে ফিরলেন। মঙ্গলবার বিধানসভায় গিয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Mayor Firhad Hakim) সঙ্গে দেখা করে ফের তৃণমূলে য়োগ দিলেন হালিশহরের ( Halisahar) আট কাউন্সিলর। মাসখানেক আগেই তৃণমূলকে ভাঙিয়ে ১৬জন কাউন্সিলরকে দিল্লি নিয়ে গিয়েছিল বিজেপি। তাঁদের মধ্যে থেকেই আটজন তৃণমূলে ফিরলেন। এই ঘরওয়াপসির পর ফিরহাদ হাকিম বলেন, বিজেপির হুমকি অশ্রদ্ধা ও পানপরাগের গন্ধ সহ্য করতে না পেরেই এই প্রত্যাবর্তন। আরও পড়ুন-মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে জল্লাদ বললেন তৃণমূল নেতা সব্যসাচী

এদিন ঘর ওয়াপসির পর পুরমন্ত্রী বিজেপিকে একহাত নেন। বলেন, “সন্ত্রাস করে এঁদের যোগদান করানো হয়েছিল। বিজেপি-র গুটখার গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে এঁরা আবার ফিরলেন। এঁদের বুকের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি ভালবাসা।” এইতো সেদিন লাইন দিয়ে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের একাধিক পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলররা দিল্লি গিয়েছিলেন। যোগ দিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরে। মাস কাটতে না কাটতেই ফের ফুল বদলের ঘটনা ঘটল। ঘরে ফেরা কাউন্সিলরদের মধ্যে মহিলাও আছেন।ঘরে ফেরার পর হালিশহরে তৃণমূলের কাউন্সিলরের সংখ্যা গিয়ে ঠেকল ১২-তে। এরপরই দলের তরফে হালিশহর পুরসভার দখল নেওয়ার খবর প্রকাশ করা হয়। এদিন বিধানসভায় ববি হাকিমের পাশে ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুও। ফিরহাদ এদিন বলেন, “বিজেপি সন্ত্রাস করে ওঁদের নিয়ে গিয়েছিল। কারও  কারখানা বন্ধ করেছে, কারও মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছেলেকে খুনের হুমকি দিয়েছে। তখন এঁদের কাছে তৃণমূল-বিজেপি-র থেকে বেঁচে থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।”

তিনি আরও বলেন, “মিস্টার রায় আর মিস্টার সিং দিল্লির নেতাদের কাছে স্কোর বাড়াচ্ছেন। তবে এরপর যদি সন্ত্রাস করে, তাহলে অর্জুন বাহিনী থাকবে জেলের ভিতরে।” তাঁর কথায়, “এঁরা বিজেপি-তে গিয়ে ছটফট করছিল। ওই গেরুয়া ফ্ল্যাগ, গুটখার গন্ধে অতিষ্ঠ হয়েই ফিরে এসেছেন।” যদিও অর্জুন সিং সাফ জানিয়েছেন, দলে ফেরত কাউন্সিলরদের কাউকে চেয়ারম্যান করলেই অনাস্থা আনবে বিজেপি।