কলকাতা, ২৪ মার্চ: রবিবারের জনতা কার্ফিউ কাটতেই লোকজন রাস্তায় নেমে ঘণ্টা কাঁসর বাজিয়ে সেই সংক্রমণের রাস্তাটা আরও প্রসারিত করেছে। সোমবার সারদিন ছুটির মেজাজে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলেছে আড্ডা, খেলাধুলো। চায়ের দোকানগুলিতে ভিড় উপচে পড়েছে। কিন্তু রাতে প্রশাসন কড়া হতে সেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করল কলকাতার অলিগলি থেকে আইন ভাঙার অভিযোগে ২৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, লকডাউনকে (Lockdown) অনেকে তোয়াক্কাই করছেন না। সেইসঙ্গে রাজ্যগুলির উদ্দেশে বলেছিলেন, আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা। ঘরে থাকার আর্জি জানিয়ে এদিনও আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কে শোনে কার কথা!
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৪৯৯। এরমধ্যে আবার ৪১ জন বিদেশি। অনেকের বক্তব্য ভারতে করোনা ভাইরাস তৃতীয় স্টেজ অর্থাৎ গোষ্ঠী সংক্রমণে ঢুকে গিয়েছে। এদিন বিকেলেই ডোমেস্টিক তথা অভ্যন্তরীণ বিমান পরিষেবাও বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। এবার লকডাউনকে সম্পূর্ণ করতে রাস্তায় নেমে পড়ল প্রশাসন। কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা আবেদন জানিয়ে বলেছেন, “ঘরে থাকুন। প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করুন।” হুঁশিয়ারির সুরে নগরপাল জানিয়ে দিয়েছেন, কলকাতার আনাচেকানাচে পুলিশি অভিযান চলবে। সোমবারের অভিজ্ঞতা দেশজুড়ে বিশেষ ভাল না। রাজ্যের যেসব জায়গায় লকডাউন ছিল না সেসব জায়গায় দেখা গিয়েছে বাজার-হাট, চায়ের দোকানে ভিড় জমিয়ে দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। খেলার মাঠে চলছে চুটিয়ে খেলাধূলা। সন্ধের পর থেকেই পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে বাংলার বহু জেলায়। জটলা দেখলেই লাঠি নিয়ে তাড়া করেপুলিশ। বহু জায়গায় নামানো হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীও। আরও পড়ুন-Mamata Banerjee: করোনাভাইরাস রুখতে সকলকে একসঙ্গে টুইটে লড়াইয়ের বার্তা মমতা ব্যানার্জির
কলকাতায় গ্রেপ্তারির সংখ্যা দেখেই ঠাওর হচ্ছে প্রশাসন ঠিক কতটা কড়া হাতে করোনাভাইরাস মোকাবিলা করতে চাইছে। মানুষ মরছে প্রতিদিন। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এসব দেখেও বহু লোকের তিলমাত্র তাপ উত্তাপ নেই। তারা গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।