Vadu Sheikh

রামপুরহাট, ৩১ মার্চ: রামপুরহাটের (Rampurhat) বগটুই (Bagtui) গ্রামে ভাদু শেখ (Vadu Sheikh) খুনে আরও ২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম ভাসান শেখ ও শেখ শফিক। বুধবার মাড়গ্রাম এবং নলহাটি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের বৃহস্পতিবার রামপুরহাট আদালতে তোলা হবে। এনিয়ে ভাদু খুনে মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এখনও পর্যন্ত। গতকালও ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম শেরা শেখ, সঞ্জু শেখ ও রাজা শেখ।

রামপুরহাট কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা কী ছিল তা বেশ গুরুত্ব সহকারেই খতিয়ে দেখছে সিবিআই। ঘটনার দিন বগটুইয়ে ঠিক কী হয়েছিল তা জানতে একাধিক পুলিশ কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। একাধিক এসআই, এএসআইকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই তদন্তকারীদের। জেলার সর্বোচ্চ পুলিশ আধিকারিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ভাবছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্রে খবর, বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হতে পারে। আরও পড়ুন: Birbhum Violence: বগটুইকাণ্ডে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আগে বিজেপির রিপোর্টে কীভাবে অনুব্রতর নাম, প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর

বীরভূমের বগটুইকাণ্ড নিয়ে গতকাল জেপি নাড্ডাকে রিপোর্ট জমা দেয় বিজেপির ফ্যাক্ট অ্যান্ড ফাইন্ডিং কমিটি। বীরভূমকাণ্ডে জেপি নাড্ডাকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর এ বিষয়ে মুখ খোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, বীরভূমকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা ওই এলাকায় অবৈধ খনি, চোরাকারবারের মত একাধিক কাজে যুক্ত। যে অবৈধ কাজের ভাগবাটোয়ারার অর্থ তৃণমূল নেতৃত্বের কাছেও পৌঁছত বলে অভিযোগ করেন সুকান্ত মজুমদার। যার জেরে বীরভূমের ওই এলাকায় বিস্ফোরণ থেকে শুরু করে একাধিক খুনের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে বলেও দাবি করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।