Death, Representational Image (Photo Credit: File Photo)

প্রাইভেট টিউশনে পড়তে যাওয়ার নামে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল দুই নাবালিকা। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিল তাঁরা। অবশেষে রবিবার সকালে নামখানা (Namkhana) লাইনের নিশ্চিন্তপুুর ও করঞ্জলী স্টেশনে মাঝে রেললাইন থেকে উদ্ধার হল দুজনের রক্তাক্ত দেহ। মৃতদেহ ঘিরে শুরু হয়েছে রহস্য। কারণ এটা নিতান্তই আত্মহত্যা না খুন সেই বিষয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে। কারণ দিনকয়েক আগেই দুজনই তাঁদের প্রেমিককে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ওই দুই নাবালক সহ মোট তিনজনকে গ্রেফতার করেছে কাকদ্বীপের হারুড পয়েন্ট কোস্টাল থানার পুলিশ।

পুলিশসূত্রে খবর, শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ কাকদ্বীপের বাসন্তী ময়দান এলাকায় টিউশন পড়তে যাবে বলে বেরিয়েছিল দুজনে। তারপর থেকেই তাঁদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল। দুই পরিবারের তরফ থেকেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। তারপরেই আজ সকালে নাবালিকাদের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। জানা যাচ্ছে, সোমা জানা ও সুমিতা দাস দুজনেই দীর্ঘদিনের বন্ধু ছিল। আর দুজনেই দ্বাদশ শ্রেণিতে পাঠরত ছিল। সম্প্রতি সুমিতার এক সমবয়সী নাবালকের সঙ্গে সম্পর্ক হয়। তবে তাঁদের বাড়ি থেকে সম্পর্কের মান্যতা না দেওয়ায় দুজনে পালিয়ে যায়। কিন্তু পালালেও তাঁরা বিয়ে করে না।

অন্যদিকে সুমিতার প্রেমিকের বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায় সোমা। কিন্তু বিয়ের বয়স না হওয়ায় তাঁদের পরিবারও সম্পর্ক মেনে নেয়নি। এরপর দুজনেই তাঁদের প্রেমিকের ওপর বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকে। এমনকী সম্প্রতি তাঁদের প্রেমিকদের আত্মহত্যারও হুমকি দেয়। তারপরেই দুজনের দেহ উদ্ধার হয় রবিবার সকালে। ইতিমধ্যেই দুই প্রেমিক সহ তাঁদের আরও এক বন্ধুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।