Walk Me Chair

Toyota Unveils Walk Me Chair: একেবারে যাকে বলে ম্যাজিকাল চেয়ার। নতুন যুগের অলসদের স্বর্গ বলতে যা বোঝায়, টয়োটার 'ওয়াক মি চেয়ার' (‘Walk Me Chair’) যেন ঠিক তাই! এই ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির চেয়ার নিজেই হাঁটে, এমনকি সিঁড়ি বেয়ে ওঠে-নামেও। এই চেয়ারই আপনাকে পৌঁছে দেবে ডেস্ক থেকে ছাদ পর্যন্ত! চেয়ারে চারটি রোবোটিক পা, প্রতিটি আলাদা ইলেকট্রিক মোটর দ্বারা চালিত। চেয়াটি দেখতে যেন ভদ্র এক মেকানিক্যাল মাকড়সা, যে কিন্তু আপনার স্ন্যাকস খাওয়ার অভ্যাসে কোনো সমালোচনা করে না। চেয়াটিতে রয়েছে স্মার্ট স্ট্যাবিলাইজেশন সিস্টেম, যা যাত্রাপথে ভারসাম্য বজায় রাখে। তাই মিম স্ক্রল করতে করতে সিঁড়িতে মুখ থুবড়ে পড়ার ভয় নেই।

ম্যাজিকের মত কাজ করে এই রোবটিক চেয়ার

যদিও মূলত শারীরিকভাবে দুর্বল বা চলাচলে অসুবিধা আছে এমন মানুষদের কথা ভেবেই ডিজাইন করা হয়েছে, কিন্তু মানতেই হবে। এটা গেমারদের স্বপ্নের সিংহাসন। ফ্রিজ রেইড করার জন্য বসা জায়গা ছাড়তেই হবে না!টয়োটা এবার দেখালো ভবিষ্যতের সাই-ফাই প্রযুক্তি, যা দেখে লিফট বা এস্কেলেটরও পুরোনো যুগের বলে মনে হবে। ভাবুন তো, বেসমেন্ট থেকে ছাদ পর্যন্ত উঠে যাওয়া, একবারও দাঁড়াতে হলো না! বহু-তলার সিরিজ দেখে কাটানো অলস দিনগুলো এখন আরও আরামদায়ক হবে। চেয়াটি ধীর, কোমল, এবং স্থির গতিতে হাঁটে, মনে হবে যেন অত্যন্ত ধৈর্যশীল এক রোবো-গাধার পিঠে চড়েছেন, যাকে জাপানি ইঞ্জিনিয়াররা প্রশিক্ষণ দিয়েছেন কখনো অভিযোগ না করার জন্য। অফিসে এলে বিপত্তি নিশ্চিত, কফি ব্রেক শুরু মানেই সিঁড়িতে হেলিকপ্টারের মতো শব্দ তুলে রোবোটিক চেয়ারের ট্রাফিক জ্যাম!

দেখুন টয়োটার সেই রোবটিক চেয়ার

কবে আসছে বাজারে

এটি শুধু সহায়ক প্রযুক্তি নয়, একধরনের বার্তা: “আপনাকে কেন হাঁটতে হবে, যখন আপনার ফার্নিচারই আপনার জন্য ব্যায়াম করতে পারে?”কবে বাজারে আসবে এখনো ঘোষণা হয়নি। তবে একটা জিনিস স্পষ্ট,যারা যন্ত্রের কাছে ‘লেগ ডে’ আউটসোর্স করার স্বপ্ন দেখেছেন, তাদের জন্যই এই হাঁটা চেয়ার সর্বোচ্চ ‘ফ্লেক্স’।