অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ উঠল, ফের মুক্ত টিকটক
file photo

ফের মু্ক্ত সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয় অ্যাপস টিকটক Tik Tok। প্রায় সপ্তাহ দুয়েক পর অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাসন উঠে ফের স্বমহিমায় ফিরল টিকটক। আবারও অনায়াসে ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যাবে জনপ্রিয় এই অ্যাপ।মিউজিক ও সংলাপ সহকারে মজার মজার ভিডিও তৈরি করা যায় এখানে। ফলে যতদিন গড়িয়েছে, জনপ্রিয় হয়েছে এই অ্যাপ। চলতি বছর জানুয়ারিতে এদেশে তিন কোটিরও বেশি মানুষ এটি ইনস্টল করেছিল। ফেব্রুয়ারিতে ২৪০ মিলিয়ন বার ডাউনলোড হয়েছে অ্যাপটি।

তবে জনপ্রিয় হলেও এর বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত ছিল না। টিকটক অ্যাপটি যুবপ্রজন্মকে পর্নোগ্রাফির প্রতি আকৃষ্ট করছে। কারণ এর মাধ্যমে বিভিন্ন অশালীন ভিডিও ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে খুব সহজেই অল্প বয়সিদের উপর এর কুপ্রভাব পড়ছে। তাই যতদ্রুত সম্ভব, অ্যাপটি বন্ধ করে দেওয়ার দাবি ওঠে। এজন্যই দুসপ্তাহ পর ফের অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ উঠিয়ে ফের প্রকাশ্যে টিকটক।

কিন্তু চিনা সংস্থা বাইটডান্স টেকনোলজি পাল্টা অনুরোধ জানিয়েছিল আদালতকে। তাদের আরজি ছিল, এই অ্যাপটি যেন ভারতে নিষিদ্ধ না করা হয়। তাহলে বড়সড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাদের। কারণ ভারতেই তাদের কোম্পানিতে ২৫০ জন কাজ করেন। টিকটক জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় ব্যবসা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনাই ছিল তাদের। কিন্তু সমাজে এই অ্যাপের খারাপ প্রভাবের কথা বিচার করে চিনা সংস্থার আর্জি খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট। ফলস্বরূপ, সমস্ত প্লে-স্টোর থেকে ব্লক করে দেওয়া হয় অ্যাপটি। কিন্তু বাইটডান্সের একাধিক যুক্তি মেনে নিয়ে গত সপ্তাহেই নির্বাসন তুলে নেওয়া হয়। কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে বর্তমানে এই অ্যাপটি আবার ফিরে এসেছে।

তবে কি সমস্ত আইনি জটিলতা থেকে মুক্ত টিকটক? না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। কারণ আদালত অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাসন তুলেছে। তবে এখনও এনিয়ে মামলা চলছে। যে কোনও মুহূর্তে ফের নির্বাসনের মুখে পড়তেই পারে অ্যাপটি। তবে যেহেতু এটি ফের প্লে-স্টোরে ফিরেছে, তাই আপাতত এটি ডাউনলোড করে পছন্দমতো ভিডিও বানাতেই পারেন ইউজাররা।