মোবাইল ফোন (Mobile Phone) বেহাত হলেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে আর কি। তখন কিছুই ভাল লাগে না, কার সঙ্গে যে ভাল করে কথা বলবেন, বা দুর্ব্যবহার করবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারবেন না। সে আপনি নাই বা বুঝলেন তাতে তো আর তেমন কিছু যায় আসছে না। লাভের লগুড় খাচ্ছে চোর। সে তো মাবাইল হাতিয়েই পগার পার। প্রথমে সিমটা ফেলে দেবে। তাপর চোরা (Thief) বাজারে মোবাইলটি বিক্রি করে মোটা টাকা কামিয়ে আবার অন্য কারোর কপাল পোড়াতে সচেষ্ট হবে। আরও পড়ুন-সনির নতুন স্মার্ট ফোনে আটটি ক্যামেরা, কার কী ব্যবহার জানেন নাকি?
কিন্তু এই যে আপনার মোবাইলটি গেল, ঠিক আছে পকেট মারি হলেও দুঃখ হয়। পরে আবার নতুন পার্স কিনে আইডি কার্ডগুলিও থানায় অভিয়োগ জানালে ডুপ্লিকেট পেতে পারেন। কিন্তু মোবাইল গেলে তো আজকের দিনে অনেককিছুই হারিয়ে যায়। গুরুত্বপূর্ণ ফোন নম্বর, ছবি, ব্যক্তিগত মেসেজ, অনলাইন ব্যাংকিং, গুগল পে। বড়সড় বিপদ। সেসব হ্যাক করে চোর তো আপনার ব্যাংক ব্যালেন্সের দফারফা করে দেবে। কী করে সামলাবেন সেসব। এসবেরই হদিশ দিল টেলিকম মন্ত্রক।
একবার চুরি হওয়ার পর যতক্ষণ ফোনে নেটওয়ার্ক রয়েছে ততক্ষণ পর্যন্ত ট্র্যাক করা সম্ভব। কিন্তু নেটওয়ার্ক চলে গেলেই মোবাইল ফোন ট্র্যাক করা আর সম্ভব নয়।বিষয়টি নিয়ে এবার নড়েচড়ে বসলো টেলিকম মন্ত্রক। অনেকেই জানেন না, প্রতিটি মোবাইল ফোনের ১৫ ডিজিটের একটি অনন্য আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি)নম্বর রয়েছে। এই নম্বর প্রতিটি মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে আলাদা হয়। যখন কোনও ব্যক্তির ফোন হারিয়ে যাবে বা চুরি হয়ে যাবে তখন পুলিশে রিপোর্ট করার পর টেলিকম ডিপার্টমেন্টকে জানাতে হবে। ফোনের আইএমইআই (International Mobile Equipment Identity) নম্বরটিকে টেলিকম ডিপার্টমেন্ট ব্লক করে দেবে। অতএব ভবিষ্যতে ওই নির্দিষ্ট ফোন থেকে কোনও প্রকার অ্যাক্সেস করা যাবে না। কিছুদিনের মধ্যেই এই পদ্ধতি চালু হবে। এইজন্য টেলিকম বিভাগ তিন ধরনের আইএমইআই নম্বর তালিকাভুক্ত করেছে। যেখানে বলা হয়েছে যে হোয়াইট লিস্টের অন্তর্গত মোবাইল ফোন গুলো ব্যবহার করা যাবে। ব্ল্যাক লিস্টের অন্তর্গত মোবাইল ফোনগুলো ব্যবহার করা যাবে না এবং গ্রে লিস্টের অন্তর্গত মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে কিন্তু নজরদারি থাকবে।