প্রতীকী ছবি(Photo Credit: Wikimedia Commons)

পরিশ্রম করলে সাফল্য মুঠোবন্দি হয়, এ তথ্য সকলেরই জানা। কিন্তু পরিষেবাকে সহজলভ্য করেও যে একই ঘটনা ঘটতে পারে তা দেখল গোটা দুনিয়া। মাত্র আড়াই বছর, তাতেই ৩০কোটি ভারতীয়র প্রিয় পরিষেবার জায়গা দখল করে নিয়েছে রিলায়েন্স জিও।টানা ১৯ বছর ভারতে টেলিপরিষেবা দিয়ে গত জানুয়ারিতে ৩০ কোটির মাইল ফলক ছুঁয়েছে ভারতী এয়ারটেল(Bharti Airtel)। আর আড়াই বছরের শিশু জিও(Jio) কিনা এই কয়েকটা দিনেই কামাল দেখিয়ে দিল।

উল্লেখ্য, ৪০ কোটিরও বেশি গ্রাহক নিয়ে এ দেশে টেলিকম সংস্থাদের তালিকার শীর্ষে ভোডাফোন-আইডিয়া(Vodafone Idea Limited)। তবে মুকেশ আম্বানির কোম্পানির গ্রাফ দেখে গ্রাহকরা একটা কথাই বলছেন, ‘জিও’। এদেশে ইন্টারনেট ডেটা ব্যবহারের সংজ্ঞাকেই রাতারাতি বদলে দিয়েছিল জিও। 2G ছেড়ে 3G-তে আসতে না আসতেই জিওর হাত ধরে 4G ব্যবহার শুরু করে দিয়েছিলেন গ্রাহকরা। এমন অভূতপূর্ব বিপ্লবে টিকে থাকতে এক ঝটকায় নিজেদের প্ল্যানে অনেকখানি কাটছাঁট করতে হয়েছিল অন্যান্য টেলিকম সংস্থাগুলিকে। তবে জিওকে তখনও জয়জয়কার অব্যাহত। তাই তো মাত্র ১৭০ দিনে গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ কোটি। যা বিশ্বরেকর্ড। অন্য কোনও টেলিকম কোম্পানি এত দ্রুত এত গ্রাহক তৈরি করতে পারেনি।

এক সময় ভোডাফোন, এয়ারটেলের রমরমায় যখন রিলায়েন্স, টাটা ডোকোমোর মতো টেলিকম পরিষেবা রীতিমতো ধুঁকছে, ঠিক তখনই মুকেশ অম্বানিই(Mukesh Ambani) বাজারে আনেন নতুন পরিষেবা সংস্থা  রিলায়েন্স জিও।শুরুতে বিনামূল্যে ভয়েস কল(Voice Call), ডেটা পরিষেবা ঘোষণা করে বাজিমাত করে জিও। হ্যাপি নিউ ইয়ার প্ল্যান থেকে জিও ধন ধনাধন প্ল্যান, একের পর এক ছক্কা হাঁকিয়ে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে যাওয়ার পর ৩০ কোটির ভারতীয়কে  মুঠোবন্দি করে ফেলেছে সে। বাকি পথ যে ইউহি জিতে নেবে তা বলাই বাহুল্য।