লন্ডন,, ২০ এপ্রিল: কোথায় পুতিন যুদ্ধ করছেন, আর তার ফল ভোগ করছেন তার দেশের খেলোয়াড়রা। বিশ্বকাপ ফুটবলের পর ক্রীড়াবিশ্বের আরও একটা মেগাইভেন্ট থেকে বাদ পড়ল রাশিয়ার নাম। জল্পনাটাই সত্যি হল। রাশিয়া অন্যায়ভাবে ইউক্রেনে আক্রমণ করায় ভ্লাদিমির পুতিনের দেশের খেলোয়াড়দের উইম্বলডন টেনিস প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হল। রাশিয়ার পাশাপাশি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পুতিনের দেশের সহযোগী বেলারুশের খেলোয়াড়দেরও পেশাদার টেনিসের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টে খেলতে দেওয়া হবে না।
অল ইংল্যান্ড ক্লাবের এই ঘোষণার ফলে পুরুষদের টেনিসে প্রথম দশে থাকা দু জন, মহিলাদের পেশাদার টেনিসে প্রথম কুড়িতে থাকা তিনজন মহিলা খেলোয়াড়কে খেলতে দেখা যাবে না এবারের উইম্বলডনে। ঐতিহ্যের উইম্বলডনে এইভাবে কোনও দেশের খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ করা বিরল ঘটনা। পেশাদার টেনিসের অন্যান্য ATP বা WTA টুর্নামেন্টে রাশিয়ার খেলোয়াড়দের ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। উইম্বলডনেই প্রথম এমন হল।
এর আগে রাশিয়াকে উয়েফা, ফিফা থেকেও সাসপেন্ড করা হয়। ফলে ইউরো জোনে প্লে অফে উঠলেও কাতার বিশ্বকাপে খেলতে দেখা যাবে না ২০১৮ ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ রাশিয়াকে। ডোপ কেলেঙ্কারির জেরে রাশিয়া আগে থেকেই অলিম্পিকে ব্যান আছে। ফলে ক্রীড়াবিশ্বের মানচিত্রে প্রায় অস্তিত্বহীন হয়ে গেল রাশিয়া। আরও পড়ুন: স্মিথদের এমসিজিতে হবে মেসি বনাম নেইমার, জুনে অস্ট্রেলিয়ায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ
উইলম্বলডনে রাশিয়া ব্যান হওয়ায় সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়ে গেল পুতিনের দেশের টেনিস মহাতারকা দানিলে মেদভেদের। পাশাপাশি মহিলাদের টেনিসে বড় নাম বেলারুশের ভিক্টোরিয়া আজারাঙ্কও উইম্বলডনে খেলতে পারবেন না। বিশ্বের ২ নম্বর মেদভেদ এবারের উইম্বলডনে হট ফেভারিট হিসেবে নামতেন। কারণ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে রাফায়েল নাদালের কাছে অল্পের জন্য হারলেও ঘাসের কোর্টে মেদভেদ সব সময়ই এগিয়ে থাকবেন। তার ওপর আার করোনা টিকা না নিতে চাওয়ায় এবারের উইম্বলডনে নাও খেলতে দেওয়া হতে পারে জকোভিচকে। ফলে গত বছর জকোভিচকে হারিয়ে ইউএস ওপেন জয়ী মেদভেদের সামনে এবারের উইম্বলডন জেতার বড় সুযোগ ছিল। কিন্তু দেশের প্রেসিডেন্ট যুদ্ধ বাঁধিয়ে দেশের খেলোয়াড়দের স্বপ্নভঙ্গ করলেন। চলতি বছর ২৭ জুন থেকে শুরু হবে এবারের উইম্বলডন।