কাঠমান্ডুর হোটেলে নাবালিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত হয়ে জেল খেটেছেন নেপালের তারকা ক্রিকেটার সন্দীপ লামিচানে। জামিনে মুক্ত হয়ে জেল থেকে বেরিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে নেমে পড়লেন নেপালের এই তারকা স্পিনার। ৬ মাস পর দেশের জার্সিতে নেমে উইকেট পেয়ে আবেগে ভাসলেন সন্দীপ। ১২ জানুয়ারি জামিন পান সন্দীপ।
সোমবার আইসিসি ওয়ার্ল্ড কাপ লিগ ২-এ নামিবিয়ার বিরুদ্ধে খেললেন নেপালের ম্যাচে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কামব্যাক করলেন সন্দীপ। নামিবিয়ার ওপেনার কার্ল বিরকেনস্টকের উইকেট নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন কাঠমান্ডুর জেলে বন্দি থেকে সবে ছাড়া পাওয়া ২২ বছরের লেগ স্পিনার সন্দীপ। উইকেট নেওয়ার পরই ছুটে গিয়ে সতীর্থ উইকেটকিপারকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। সন্দীপের কান্না থামাতে গোটা দল এক জায়গায় জড়ো হয়। এমনকী আম্পয়াররাও সন্দীপকে কান্না থামাতে অনুরোধ করেন। আরও পড়ুন-আইপিএল নিলামে রিচা রিচ
দেখুন ভিডিয়ো
THIS is @Sandeep25
THE SANDEEP LAMICHHANE.
Look the emotion of all players and fans. #sandeeplamichhane#CWCL2#NEPvNAMpic.twitter.com/mybtJ8dk8y
— AAYUSH SHRESTHA (@TweetsOnOwn) February 14, 2023
দেখুন ছবিতে
Sandeep Lamichhane Is Back. 🔥 The Very First Wicket in His 2nd Ball.& The Tears.❤️🙏#NepalVsNamibia #SandeepLamichhane pic.twitter.com/546R154Ni3
— Bipin Sapkota (@bipinsapkota213) February 14, 2023
ধর্ষণে অভিযুক্ত সন্দীপের জামিন নিয়ে নেপালে জোর বির্তক চলছে। সন্দীপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভও হয়েছে। নেপালের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলে খেলা সন্দীপের সৌজন্য ২২ গজের দুনিয়ায় নেপালকে চিনেছিল সবাই।
গত বছর সেপ্টেম্বরের ৬ তারিখ নেপাল পুলিশের কাছে লামিছানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনে এক নাবালিকা। পরেরদিনই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় সন্দীপের নামে। এমনকী তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে সাসপেন্ড করে নেপাল ক্রিকেট বোর্ড। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে একটি পোস্ট করেন সন্দীপ। জানান, ক্যরিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ থেকে মাঝপথে বিরতি নিয়ে দেশে ফিরে আসবেন। তারপর আইনি লড়াই করে সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত করবেন। সন্দীপকে গ্রেফতার করতে নোটিস জারি করেছিল ইন্টারপোল।
২০১৮ সাল থেকে দু’বছর দিল্লি ক্যাপিটালস দলের হয়ে আইপিএল খেলেছিলেন তিনি। মোট ন’টি ম্যাচ খেলে ১২টি উইকেট পেয়েছিলেন এই স্পিনার। নেপালের একমাত্র খেলোয়াড় হিসাবে আইপিএলে (IPL) সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকেই নেপাল ক্রিকেটের পোস্টার বয় (Poster boy) হিসেবে উঠে আসেন।