![](https://bnst1.latestly.com/uploads/images/2025/02/2-215298356.jpg?width=380&height=214)
ইন্ডিয়ান সুপার লিগের (ISL 2025) সূচি অনুসারে এদিন আইএসএলের পরবর্তী হোম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল সার্জিও লোবেরার ওডিশা দল। কিন্তু কলিঙ্গের বুকে নিজেদের হার বাঁচাল ওডিশা এফসি (Odisha FC)। হোম ম্যাচে ওড়িশা মুখোমুখি হয়েছিল প্যানাজিওটিস ডিলমপেরিসের শক্তিশালী পাঞ্জাব এফসির (Punjab FC) সঙ্গে। কিন্তু সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ১-১ গোলের ফলাফলে এই ম্যাচ শেষ করল উভয় দল। যালফলে ২০ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের সপ্তম স্থানে থাকল ওড়িশা এফ সি। অপরদিকে পয়েন্ট বাড়িয়ে নিয়ে লিগ টেবিলের কিছুটা উপরে উঠে আসার সুযোগ থাকলেও সেটা সম্ভব হল না পাঞ্জাবের পক্ষে। ফলে ১৯ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে পাঞ্জাব নবম স্থানে এবং ২০ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে ওডিশা 7 তম স্থানে রয়েছে। আগামীকাল মুম্বাই সিটি এফসির মুখোমুখি হবে গোয়া এফসি। মুম্বাই সিটি এবং গোয়া লীগে 26টি ম্যাচে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে। এই 26টি খেলার মধ্যে মুম্বাই সিটি জিতেছে 12টিতে যেখানে গোয়া জিতেছে 7টি ম্যাচে। ড্র দিয়ে শেষ হয়েছে ৭টি ম্যাচ।
10-man @OdishaFC hold @RGPunjabFC to a draw in a tense match at the Kalinga Stadium ⚔️#OFCPFC #ISL #LetsFootball #PunjabFC #OdishaFC
— Indian Super League (@IndSuperLeague) February 10, 2025
ওডিশার হোম ম্যাচ হলেও যেদিন প্রথম থেকেই যথেষ্ট সক্রিয় থেকেছে পাঞ্জাব দল। প্রথম কোয়ার্টারের মধ্যেই গোল করে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ চলে এসেছিল আইএসএলের এই ফুটবল দলের কাছে। কিন্তু অফসাইডের ফাঁদে পড়ে বাতিল হয়ে যায় সেই গোল। তবে সুযোগ বুঝে বেশ কয়েকবার উঠে আসে হুগো বুমোসরা। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। তারপর তৃতীয় কোয়ার্টারে ফের গোলের সুযোগ পায় পাঞ্জাব। কিন্তু ঠিকমতো ফিনিশ করতে পারেননি পুলগা ভিদাল। তারপর ৪৪ মিনিটের মাথায় ফিলিপ মিজলজ্যাককে ফাউল করে বসেন রাহুল কেপি। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে লাল কার্ড দেখিয়ে দেন ম্যাচ রেফারি। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই ওডিশার উপর ঘনঘন আক্রমণ শানাতে শুরু করে প্রতিপক্ষ দল। তারপর প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময় রিকি সাবংয়ের অ্যাসিস্ট থেকে অনবদ্য গোল করে যান পেট্রোস গিয়াকৌমাকিস। যার কোনও জবাব ছিল না ওডিশার ডিফেন্ডারদের কাছে। সেই সুবাদে এবারের ইন্ডিয়ান সুপার লিগে নিজের প্রথম গোল করে ফেলেন এই গ্ৰীক ফরোয়ার্ড। প্রথমার্ধের শেষে সেই গোলেই এগিয়ে থাকে পাঞ্জাব এফসি। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের গতি আরও বাড়ানোর লক্ষ্য থাকলেও সেটা কার্যকরী হয়নি।
অনায়াসেই গোল করে দলকে সমতায় ফেরান ইসাক ভানলালরুয়াতফেলা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এমন গোল খাওয়ায় যথেষ্ট চাপে চলে আসে পাঞ্জাব দল। পরবর্তী আরও একাধিকবার গোলের সুযোগ তৈরি করলেও কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি কারুর পক্ষে। যালফলে এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল উভয় দলকে।