কলকাতায় নেদারল্যান্ডসের কাছে ৮৭ রানে হেরে টানা ছয় ম্যাচে পঞ্চম হারের পর বিরক্ত বাংলাদেশের অধিনায়ক। সাকিব আল হাসানের কাছে যখন গতকাল কাছে জানতে চাওয়া হয়, এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বাজে ওয়ানডে বিশ্বকাপ অভিযান কিনা তিনি বলেন,'কোনো সন্দেহ নেই।' ইডেন গার্ডেন্সে নিজেদের দলকে চাঙ্গা করতে সীমান্ত পেরিয়ে আসা হাজার হাজার বাংলাদেশি সমর্থক যখন বিদায়ের জন্য প্রস্তুত তখন শেষ দুই উইকেট মুস্তাফিজুর রহমান (Mustafizur Rahman) ও তাসকিন আহমেদ (Taskin Ahmed)। বাংলাদেশের সমর্থকদের হাতে ধরা একটি ব্যানারে লেখা ছিল, 'আমাদের লক্ষ্য সবসময় পরের বিশ্বকাপ।' বাংলাদেশ এখন নবম স্থানে রয়েছে এবং ইংল্যান্ডের ও নেদারল্যান্ডসের মতো তাঁদেরও প্রায় শেষের দিকে। Netherlands Beat Bangladesh: সরিফুলদের সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা শেষ, ইডেনে বাংলাদেশকে ৮৭ রানে হারাল নেদারল্যান্ডস
🗣 "We have been poor with the bat all tournament and this is as bad as it gets" - Bangladesh skipper Shakib Al Hasan
The batters failed to stand up to Netherlands in Kolkata ❌ #CWC23 #NEDvBAN pic.twitter.com/TZ9nIqnZTD
— ESPNcricinfo (@ESPNcricinfo) October 28, 2023
৪৩তম ওভারে মাত্র ২৩০ রান তাড়া করতে নেমে ১৪২ রানে অলআউট হওয়ার পর সাকিব বলেন, 'এটা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স। কেন আমরা এভাবে খেললাম, তার উত্তর আমার কাছে নেই। আমরা মাঠে নেমেছিলাম। আমরা দুর্দান্ত বোলিং করেছি। পুরো টুর্নামেন্টে আমরা যেভাবে ব্যাটিং করতে পারি, সেভাবে ব্যাটিং করতে পারিনি। এটা একটা বড় উদ্বেগের বিষয়। আজ আরেকটা দিন ছিল যখন আমরা ডাচদের দুটো পয়েন্ট দিলাম। এটা মানতে কষ্ট হয়। হজম করতে খুব কষ্ট হয়। ক্রিকেটে এমন ঘটনা ঘটতেই পারে।'
তিনি বলেন, শুধু মুশফিকুর রহিম (Mushfiqur Rahim) ও মাহমুদউল্লাহই (Mahmudullah) ভালো ব্যাটিং করছেন। মাহমুদউল্লাহকে লাইন-আপে উচ্চতর পদ দেওয়া যেত বলে তিনি একমত হয়ে বলেন,'ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আপনি যদি আমাদের ছয় ম্যাচের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিতে বলেন, তাহলে আমি বলব, আমরা খুবই দুর্বল ছিলাম। মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিম ছাড়া বাকি ব্যাটসম্যানরা ভালো করতে পারেননি। আমাদের ব্যাটসম্যানরা ওপরে ভালো করলে রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ) ও মুশফিক নিজেদের ভূমিকা পালন করতে পারতেন। আমি আপনার সাথে একমত যে, হয়তো রিয়াদ ভাই অর্ডারে আরো ওপরে ব্যাট করতে পারলে আমরা ভালো করতে পারতাম। এ ছাড়া আমরা সবাই হতাশ।'
এছাড়া বিশ্বকাপের মাস দুয়েক আগে অধিনায়ক পরিবর্তন বাংলাদেশের ওপর প্রভাব ফেলতে পারত বলে মনে করেন সাকিব। ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল গত জুলাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজের সময় হঠাত্ করেই অবসর নেন। কিন্তু দেশটির প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে তিনি তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। শেষ পর্যন্ত ফিটনেসের অজুহাতে তামিমকে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে রাখা হয়নি। ভারত সফরের ঠিক আগে একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে সাকিবের সমালোচনার মুখে পড়েন তামিম। তামিম পর্বের প্রভাব দলের ওপর পড়েছে কিনা জানতে চাইলে সাকিব বলেন, 'এটা হতে পারে। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আমি জানি না সবার মনে কী আছে। আমি তোমার সাথে দ্বিমত পোষণ করি না। এর একটা প্রভাব হয়তো পড়েছে।'