বিশ্বকাপ থেকে তামিম ইকবালের বাদ পড়াকে 'অপরিপক্ক আচরণ' বা ছেলেমানুষি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এর আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে ক্রিকেটের কোনো সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছিলেন তামিম। সাম্প্রতিক টি-স্পোর্টসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকিব তামিমের দলে জায়গা না পাওয়ার বিষয়ে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন এবং ছয় মাস বাদে বিশ্বকাপ দলে মাহমুদউল্লাহর ফিরে আসার বিষয়টি তুলে ধরেন। সাকিব মনে করেন, ব্যক্তিগত পছন্দ নয়, ক্রিকেটীয় সক্ষমতা ও পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করেই দল নির্বাচন করা হয়। সাকিব বলেন, 'এছাড়াও, পুরো দল নির্বাচন করার দায়িত্ব আমার নয়। সেটা হলে এশিয়া কাপের একদিন আগে অধিনায়ক হওয়ার পর দল ঘোষণা করতে পারতাম। শুধু কর্মক্ষমতা নয়, অনেক প্রক্রিয়া, বিষয় ও তথ্যের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। মাঠে ও মাঠের বাইরে, ড্রেসিংরুম, টিম মিটিং, পরিবেশ - এমন অনেক বিষয়ই দল গড়ার আগে মাথায় রাখা হয়।' ' World Cup 2023 Bangladesh Squad: তামিমকে বাদ দিয়েই বিশ্বকাপের দল ঘোষণা বাংলাদেশের
🚨🎙️ Major points from Shakib's interview :
1) I didn't want to be captain (at the last moment) exactly for this situation. I intially rejected, then Papon bhai convinced me saying what will happen to new captain (who's totally left unprepared before Asia Cup & WC). Then I said… pic.twitter.com/ZwYYRUwmba
— Saif Ahmed 🇧🇩 (@saifahmed75) September 27, 2023
এরপর তামিমকে 'শিশুসুলভ' এবং 'টিম ম্যান নয়' বলে সমালোচনা করে সাকিব আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, 'রোহিত শর্মার মতো একজনকে দেখুন। ৭ নম্বর থেকে ওপেনার হিসেবে কেরিয়ার গড়েন। ১০ হাজারের বেশি রান করেন। ও [তামিম] যদি মাঝে মাঝে ৩ বা ৪ নম্বরে ব্যাট করে, তা হলে বড় সমস্যা হবে? এটা একেবারেই শিশুসুলভ। এটা আমার ব্যাট, আমি খেলব। অন্য কেউ খেলতে পারবে না। একজন খেলোয়াড়ের দলের জন্য যে কোনো পজিশনে ব্যাট করা উচিত। প্রথমে দল। ১০০ বা ২০০ করে ফেললে কোনও পার্থক্য হয় না, আর দল হেরে যায়। ব্যক্তিগত অর্জন দিয়ে আপনি কী করতে পারেন? আপনি কি নিজের জন্য একটা নাম করতে চান?'
ওপেনিং থেকে কেরিয়ার গড়া বাংলাদেশের সফলতম ব্যাটসম্যান তামিম। আসলে তার ২৪০ ওয়ানডে ইনিংসের সবকটিই খেলেছেন শীর্ষে। ২০০৭ সালে ফিরে আসার পর থেকে তামিম একবারও নিচের দিকে ব্যাট করেননি। তবে বিসিবির সঙ্গে তার তিক্ত সম্পর্কের কথা মাথায় রেখেই হয়তো, গত জুলাইয়ে তামিম জানিয়েছিলেন, আফগানিস্তানের বিপক্ষে চোটের কারণে খেলতে পারছেন না তিনি, ব্যাটিং বিপর্যয়ের কথা সরাসরি অস্বীকার করেন এই ওপেনার। কয়েকদিন আগে তামিম জানান, বিসিবির একজন শীর্ষ কর্তা তাকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে না খেলতে বলেছেন এবং তিনি খেলতে পারলে মিডল অর্ডারে ব্যাট করার দ্বিতীয় বিকল্পও দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। কেরিয়ারে কখনো তিন নম্বরে ব্যাট করতে না আসায় অবাক ও ক্ষুব্ধ তামিম। তাই তামিম বিসিবিকে শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের স্কোয়াডে তাকে না নির্বাচন করতে বলেছেন।