মিসবা উল হক। (Photo Credits: Getty Images)

লাহোর, ৪ সেপ্টেম্বর: মিসবা উল হক (Misbah ul Haq)-কে পাকিস্তান ক্রিকেটের দুটি গুরু দায়িত্ব দেওয়া হল। বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর কোচ মিকি আর্থারকে সরিয়ে পিসিবি সেই হেড কোচের দায়িত্ব দিল দেশের বাইশ গজের বহু যুদ্ধের নায়ক মিসবা-কে। পাকিস্তানের জাতীয় দলের হেড কোচের পাশাপাশি নির্বাচক কমিটির প্রধান করা হল দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি বয়সে অধিনায়কত্ব করা মিসবাকে। বোলিং কোচ হিসেবে ওয়াকার ইউনিস-কে দায়িত্বে দেওয়া হল। তিন বছরের চুক্তিতে মিসবা ও ওয়াকারকে পাক ক্রিকেটের বড় দায়িত্ব দেওয়া হল। মিসবা-ই আবার পাকিস্তানের টেস্টে ক্রিকেটের ইতিহাসে সফলতম অধিনায়ক। তাঁর নেতৃত্বে পাকিস্তান আইসিসি টেস্ট Ranking-এ শীর্ষে উঠেছিল।

পাকিস্তান ক্রিকেটের অবস্থা এখন মোটেও ভাল নয়। বিশ্বকাপের অনেক আগে থেকেই পাক ক্রিকেটে বিপর্যয় চলছে। ২০১৬ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেতাব জেতার পর থেকে পাকিস্তান ক্রিকেটে খারাপ অবস্থা শুরু হয়। এশিয়া কাপ ক্রিকেটে একেবারে খারাপভাবে হারে পাকিস্তান। ৪৩ বছর বয়স পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা মিসবা-র কাছে এখন অনেক চ্য়ালেঞ্জ। সরফরাজ আহমেদকে অধিনায়ক হিসেবে রেখেই মিসবা গুটি সাজান কি না সেটা দেখার। আরও পড়ুন- 'বেবি ফেডেরার'-এর কাছে হেরে রাজা রজারের উনিশের ঝুলি শূন্য

স্বচ্ছ ভাবমূর্তি, প্রকৃত টিম ম্যান হিসেবে পরিচিত মিসবা-র দায়িত্ব হবে পাকিস্তান ক্রিকেটের গৌরব ফিরে আনা। এক্ষেত্রে নতুন ক্রিকেটার তুলে আনাটা খুব জরুরী। তাই দেশের ক্রিকেটের প্রধান নির্বাচকও তিনি হচ্ছেন। মিসবা ও ওয়াকার ইউনিসকে যথাক্রমে হেড ও বোলিং কোচ হিসেবে বেছে নেন পাঁচ সদস্যের প্যানেল। যে প্য়ানেলে ছিলেন পাকিস্তানের দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার- ইনতিকাব আলম, বাজিদ খান। মিসবা-র কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা সেভাবে নেই। তবে ওয়াকার ইউনিস এর আগে দু বার পাকিস্তানের জাতীয় দলের কোচিং করিয়েছেন। ২০১৬ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়াকার ইউনিসের কোচিংয়ে খেলে ব্যর্থ হয়েছিলেন শাহিদ আফ্রিদি-রা। দেশের হয়ে ৭৫টি টেস্ট, ১৬৯টি ওয়ানডে ও ৩৯টি টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন মিসবা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব ধরনের ফরম্যাট মিলিয়ে মিসবা ১০ হাজারের ওপর রান করেছেন। পাকিস্তান ক্রিকেটের নানা স্মরণীয় ঘটনার সঙ্গে জড়িত মিসবা।