অকল্যান্ড, ২৪ জানুয়ারি: প্রথম টি-২০-তে নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারাল ভারত (India)। শুক্রবার অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে (Eden Park) প্রথম টি-২০ ম্যাচে ২০৩ রান তাড়া করে সহজেই জয় পেল বিরাট কোহলিরা (Virat Kohli)৷ সেই সঙ্গে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল ‘মেন ইন ব্লু’৷ শুক্রবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ঝোড়ো শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই ওপেনার মার্টিন গাপ্টিল ও কলিন মুনরো মারমার কাটকাট ভঙ্গিতে চালাচ্ছিলেন। দু’জনের দাপটে ২৭ বলে পঞ্চাশে পৌঁছে গিয়েছিল রান। পাওয়ারপ্লে-র ছয় ওভারে বিনা উইকেটে উঠেছিল ৬৮। প্রথম স্পেলে শার্দুল ঠাকুরের দুই ওভারে উঠেছিল ৩০ রান, শামির দুই ওভারে উঠেছিল ২২ রান। রানের গতি কিছুটা থামিয়েছিলেন লেগস্পিনার। প্রথম দুই ওভারে তিনি দিয়েছিলেন মাত্র আট রান। বাউন্ডারি লাইনে রোহিতের দুরন্ত ক্যাচে আউট হন গাপ্টিল৷ অন্য ওপেনার কলিন মুনরো করেন ৫৯ রান ৷ অর্ধশতরান করেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও ৷ ৫১ রান করে চাহালের বলে বিরাটের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি ৷ এর পর ঝোড়ো ব্যাটিং করেন রস টেলর ৷ শেষ ওভারে হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি ৷ ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি ৷
ভারতের হয়ে কিউয়ি শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন শুবম দুবে৷ মুনরোকে ফেরান শার্দুল৷ চাহাল নেন ১টি উইকেট৷ জাদেজা ও বুমরাহ নেন একটি করে উইকেট৷ তবে উইকেট পাননি মহম্মদ শামি ৷ শেষ ওভারে বোলিং করতে গিয়ে চোট পান বুমরাহ৷ ২০ ওভারে কিউয়িরা তুলেছিল পাঁচ উইকেটে ২০৩ রান। ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ২০৪ রান। আরও পড়ুন: Mohammad Azharuddin: মুহাম্মদ আজহারউদ্দিনের বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগ
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। ছন্দে থাকা রোহিত শর্মা ৭ রান করেই ফিরে যান। রোহিত ফেরার পর লোকেশ রাহুল ও বিরাট কোহালি টানছিলেন দলকে। দ্বিতীয় উইকেটে দু’জনে যোগ করেছিলেন ৯৯ রান। ছয় মেরে পঞ্চাশে পৌঁছেছিলেন রাহুল। যা এসেছিল মাত্র ২৩ বলে। কিন্তু তার পরই ফিরলেন তিনি। ছয় মারতে গিয়ে তোলেন ক্যাচ। তাঁর ২৭ বলে ৫৬ রানের ইনিংসে রয়েছে চারটি চার ও তিনটি ছয়। রাহুল ফেরার পর বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি কোহলিও। ৩২ বলে ৪৫ করে ফেরেন তিনি। শ্রেয়াস-মণীশেক অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেটের জুটি চাপ কাটিয়ে দিল। বিরাট ফেরার পর পাঁচে এসেছিলেন শিবম দুবে। কিন্তু বেশিক্ষণ থাকলেন না। নয় বলে ১৩ করে ফিরলেন মারতে গিয়ে। ১৪২ রানে পড়েছিল ভারতের চতুর্থ উইকেট। তার পর জুটি বেঁধেছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার (১৬) ও মণীশ পাণ্ডে (৩)। দু’জনে ৩৪ বলে যোগ করলেন ৬২ রান। ২৬ বলে পঞ্চাশে পৌঁছেছিলেন শ্রেয়াস। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন ৫৮ রানে। যাতে ছিল পাঁচটি চার ও তিনটি ছয়। মণীশ অপরাজিত থাকলেন ১২ বলে ১৪ রানে।