দিওয়ালির রাতে বিশ্বকাপে দুরন্ত জয় ভারতের। রবিবার বেঙ্গালুরুতে নেদারল্যান্ডসকে ১৬০ রানে উড়িয়ে দিয়ে লিগ পর্যায়ের ৯টি ম্যাচের ৯টিতে জিতেই সেমিফাইনালে খেলতে নামবে রোহিত শর্মার দল। শ্রেয়স আইয়র ও কেএল রাহুলের দুরন্ত সেঞ্চুরি। রোহিত শর্মা, শুবমন গিল, বিরাট কোহলির অনবদ্য হাফ সেঞ্চুরি, ও বুমরা-সিরাজদের দুরন্ত বোলিংয়ে ভর করে ডাচদের অনায়াসে হারাল ভারত। ভারতের ৪১০ রানের জবাবে ডাচরা ৪৭.৫ ওভারে ২৫০ রানে অল আউট হল।
রবিবার বেঙ্গালুরুতে বিশ্বকাপে লিগ পর্যায় শেষ ম্য়াচে নেদারল্য়ান্ডসের বিরুদ্ধে প্রথম ব্যাট করতে নেমে দুরন্ত সেঞ্চুরি করলেন শ্রেয়স, রাহুল। চতুর্থ উইকেটে দুজনে ১২৭ বলে ২০৮ রানের পার্টনারশিপ করলেন। শ্রেয়স ৯৪ বলে ১২৮ রানে অপরাজিত থাকলেন, আর ইনিংস শেষের এক বল আগে ৬৪ বলে ১০২ রানে আউট হলেন রাহুল। তার আগে দুরন্ত হাফ সেঞ্চুরি করলেন রোহিত শর্মা (৫৪ বলে ৬১), শুবমন গিল (৩২ বলে ৫১) ও বিরাট কোহলি (৫৬ বলে ৫১)। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হলেন শ্রেয়স আইয়ার।
ডাচদের বিরুদ্ধে উইকরেটকিপার কেএল রাহুল ছাড়া ভারতের দশ জনই বল করলেন। বিরাট কোহলি থেকে রোহিত শর্মা-সবাই উইকেট পেলেন। বুমরা, সিরাজ, জাদেজারা দুটি করে উইকেট পেলেন। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং-সব বিভাগেই ভারতের সামনে একেবারে ক্লাবস্তরের দেখাল ডাচদের। এই নেদারল্যান্ডস চলতি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশকে হারিয়ে চমকে দেয়। কিন্তু চলতি বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়ার কাছে সব দলকেই ফিকে দেখিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা অল আউট হয়েছে ৮৩ রানে, শ্রীলঙ্কা আরও কম ৫৫ রানে। ইংল্যান্ড অল আউট হয় ১২৯ রানে, অস্ট্রেলিয়াও মুখ থুবড়ে পড়েছিল রোহিতদের সামনে। আরও পড়ুন-দিওয়ালিতে বিস্ফোরণ শ্রেয়স-রাহুলের ব্যাটে, বেঙ্গালুরুতে জোড়া সেঞ্চুরি-তিন হাফ সেঞ্চুরিতে ভারতের ৪০৮
চলতি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জয় দিয়ে অভিযান শুরু করেছিল টিম ইন্ডিয়া। তারপর একে একে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নিউ জিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, আর একেবারে শেষে ডাচদের উড়িয়ে রাউন্ড রবীন লিগের খেলা শেষ করল রোহিত শর্মার দল। সব মিলিয়ে বুধবার ওয়াংখেড়েতে নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফাইনালে ম্যাচে নামার আগে একেবারে তেরি ভারতীয় দল।
লিগ পর্যায়ে ভারতের খেলার ফল
প্রথম ম্যাচ: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে জয়ী (৫২ বল বাকি থাকতে), চেন্নাই
দ্বিতীয় ম্যাচ: আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৮ উইকেটে জয়ী (৯০ বল বাকি থাকতে), দিল্লি
তৃতীয় ম্যাচ: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে (১১৭ বল বাকি থাকতে), আমেদাবাদ
চতুর্থ ম্যাচ:বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে জয়ী (৫১ বল বাকি থাকতে), পুণে
পঞ্চম ম্যাচ: নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪ উইকেটে জয়ী (১২ বল বাকি থাকতে), ধর্মশালা
ষষ্ঠ ম্যাচ: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়ী ১০০ রানে, লখনৌ
সপ্তম ম্যাচ: শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয়ী ৩০২ রানে, মুম্বই
অষ্টম ম্যাচ: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জয়ী ২৪২ রানে, কলকাতা
নবম ম্যাচ: নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে জয়ী ১৬০ রানে, বেঙ্গালুরু