দিওয়ালিতে একেবারে বিস্ফোরক ইনিংস ভারতের মিডল অর্ডারের দুই স্তম্ভ-শ্রেয়স আইয়ার ও লোকেশ রাহুলের। দীপাবলীর উজ্জ্বল সন্ধ্যায় বাগিচার শহরে টিম ইন্ডিয়া নির্ধারিত ৫০ ওভারে করল ৪০৮ রান। বুধবার মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়েতে কিউইদের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে নামার আগে আরও একবার জ্বলে উঠল ভারতের ব্যাটিং।

রবিবার বেঙ্গালুরুতে বিশ্বকাপে লিগ পর্যায় শেষ ম্য়াচে নেদারল্য়ান্ডসের বিরুদ্ধে প্রথম ব্যাট করতে নেমে দুরন্ত সেঞ্চুরি করলেন শ্রেয়স, রাহুল। চতুর্থ উইকেটে দুজনে ১২৭ বলে ২০৮ রানের পার্টনারশিপ করলেন। শ্রেয়স ৯৪ বলে ১২৮ রানে অপরাজিত থাকলেন, আর ইনিংস শেষের এক বল আগে ৬৪ বলে ১০২ রানে আউট হলেন রাহুল। তার আগে দুরন্ত হাফ সেঞ্চুরি করলেন রোহিত শর্মা (৫৪ বলে ৬১), শুবমন গিল (৩২ বলে ৫১) ও বিরাট কোহলি (৫৬ বলে ৫১)।

দেখুন ভারতের রেকর্ড

শুরু থেকেই অনভিজ্ঞ ডাচ বোলিংকে সাসন করছিলেন ভারতীয় ব্যাটাররা। ইনিংসের ২৯ তম ওভারে কোহলির আউটের পর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের দর্শকদের হতাশ দেখাচ্ছিল। কারণ ভারতীয় ব্যাটিং সবচেয়ে বড় দুই ইউএসপি- রোহিত, বিরাটই আউট হয়ে গেলেন। কিন্তু আসল খেলাটা শুরু হল এরপর। শ্রেয়স আইয়ার, কেএল রাহুল এমন ইনিংস খেলে দিলেন, যা দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না। রাহুল তো একটা সময় শুধু বাউন্ডারি, আর ওভার বাউন্ডারি হাঁকাতে থাকলেন। শ্রেয়স মারলেন ১০টি বাউন্ডারি, ৫টি ওভার বাউন্ডারি। আর রাহুল হাঁকালেন ১১টি বাউন্ডারি, ৫টি ওভার বাউন্ডারি।

শ্রেয়স, রাহুলদের দুরন্ত ব্যাটিংয়ের সামনে অসহায় দেখাল ডাচ বোলিংকে। দক্ষিণ আফ্রিকা হারানো নেদারল্যান্ডসের বোলাররা এদিন খুব মার খেলেন। ডাচ পেসার ভান উইক ১০ ওভারে দিলেন ১০৭ রান। ডাচদের ভারতীয় বংশোদ্ভূত স্পিনার আরিয়ান দত্ত দিলেন ৭ ওভারে ৫২ রান।