Shakib Al Hasan (Photo Credit: @DDNewslive/ X)

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়েছে, মামলার এফআইারে নাম লেখানোর পর খুনের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যাবেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান (Shakib Al Hasan)। সভাপতি ফারুক আহমেদ সম্প্রতি জানিয়েছেন, বাঁহাতি এই স্পিনার তাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় এবং তিনি সব ধরনের আইনি সহায়তা পাবেন। বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রথম আলোর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বিসিবি সভাপতি জানান, 'সে (সাকিব) খেলা চালিয়ে যাবে। আমরা তাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে একটি আইনি নোটিশ পেয়েছি এবং আমরা তাদের বলেছি যে এটি (সে খেলা চালিয়ে যাবে)। এই মুহূর্তে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে এবং এটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং এর পরে অনেকগুলি পদক্ষেপ রয়েছে এবং যতক্ষণ না সে দোষী প্রমাণিত হচ্ছে ততক্ষণ আমরা তাকে খেলাব।' Shakib Al Hasan Makes History: বাঁ হাতি স্পিনার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশী উইকেটের মালিক সাকিব আল হাসান

তিনি আরও বলেন, 'পাকিস্তান সিরিজের পর বাংলাদেশ দল ভারতে যাবে এবং আমরা সেই সিরিজেও তাকে চাই। সে আমাদের চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়, প্রয়োজনে আমরা তাকে আইনি সহায়তা দেব।' বাংলাদেশে একটি কথিত খুনের ঘটনায় সাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর তাকে ঘিরে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। তবে সবকিছু একদিকে সরিয়ে রেখে খেলায় পুরোপুরি মন দেওয়া অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। পাকিস্তানকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ার পর ম্যাচ পরবর্তী প্রেজেন্টেশনে তিনি বলেন, 'তিনি (সাকিব) যখন দেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য মাঠে নামেন, আমি যতটুকু বুঝি, মানুষ হিসেবে ও অনেক ডেডিকেটেড।'

তিনি আরও যোগ করে বলেন, 'জয়ের জন্য যা যা করা দরকার সবই তিনি করেন। দলের জন্য কী করা যায়, একজন জুনিয়র ক্রিকেটারকে সাহায্য করার জন্য তিনি কী করতে পারেন ইত্যাদি বিষয়ে চিন্তা ও মন দেওয়ার জন্য তিনি তার ব্যক্তিগত জীবনের সবকিছুকে একপাশে ঠেলে দেন। তিনি অনন্য উপায়ে এই ধরনের কাজ করতে পারেন। এরকম পরিস্থিতিতে থাকা (একটি হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে) এবং তারপরও এমন পারফরম্যান্স বের করে আনতে পারা এবং বিশেষ করে বোলিংয়ে নিজের ইনপুট দিতে পারাটা অসামান্য।'

গত ৫ আগস্ট রুবেল ইসলামের খুনের অভিযোগ রয়েছে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিপক্ষেও। কয়েকটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে অভিযুক্তদের মধ্যে অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদও রয়েছেন। সাকিব ও ফেরদৌস দুজনই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অংশ থাকায় বিক্ষোভের কারণে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকে দলের সদস্যদের টার্গেট করা হয়েছে বলে জানা গেছে।