ম্যানচেস্টার, ১৯ জুন: বিশ্বকাপ ২০১৯ (ICC World Cup 2019) -এ প্রথম দল হিসেবে বিদায় নিশ্চিত হল আফগানিস্তান (Afghanistan)-এর। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে যে আফগান দলকে ডার্ক হর্স অ্যাখা দেওয়া হচ্ছিল, সেই দেশই টানা পাঁচটা ম্য়াচে খারাপভাবে হেরে বিদায় নিল। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর নিজেদের খেলার মান অনেকটা বাড়িয়ে টেস্ট মর্যাদা আদায়ের পর, চলতি বিশ্বকাপে খারাপ পারফরম্য়ান্সের জেরে ফের পিছিয়ে গেল আফগান ক্রিকেট। শনিবার ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগেই আফগানদের বিদায় নিশ্চিত হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার দিয়ে চলতি বিশ্বকাপে অভিযান শুরু করেন আফগানরা। এরপর নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ডের কাছে বিশাল ব্যবধানে হেরে বিদায় নিলে রশিদ খান-রা। গতকাল, ওল্ড ট্রাফোর্ডে তো ইংল্যান্ড কার্যত ছেলেখেলা করল আফগানদের নিয়ে। ইয়ন মর্গ্যানের বিশ্বেরকর্ড গড়া ১৭ ছক্কার ধাক্কায় মহালজ্জার মুখে পড়তে হল আফগান ক্রিকেটের মুখ রশিদ খানকে। আরও পড়ুন- ১৭ ছক্কার ঝড়, ২২গজের বিশ্বযুদ্ধে চমকে দিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান
রশিদ ৯ ওভার বল করে দিলেন ১১০ রান। যা বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান দেওয়া স্পেল। পাশাপাশি এই প্রথম ওয়ানডে ক্রিকেটে এক ইনিংসে কোনও স্পিনার ১০০ বা তার বেশি রান খরচ করলেন। ইংল্যান্ড গতকাল নির্ধারিত ৫০ ওভারে করে ৩৯৭ রান। আফগানিস্তান জবাবে করে ২৪৭ রান।
কিন্তু কেন এই ভরাডুবি কাবুলিওয়ালার দেশের? অনেকেই বলছেন, বিশ্বকাপের আগে অধিনায়ক অসগর আফগানকে সরিয়ে গুলবুদ্দিন নইবকে দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে বিতর্কের প্রভাব দলের পারফরম্য়ান্সে পড়েছে। নইবকে দলের একটা অংশ মেনে নেওয়ায় আফগানদের টিম স্পিরিটে প্রবাব পড়ে। পাশাপাশি চোট আঘাতও ভুগিয়েছে আফগানদের। টুর্নামেন্টের মাঝপথে ছিটকে যান দলের তারকা ওপেনার মহম্মদ শাহজাদ। ইংল্যান্ডের পিচ, পরিবেশে আফগান স্পিনারদের বল কাজে না লাগাটাও বড় ফ্যাক্টার হয়ে দাঁড়ায়। এখনও চারটে ম্য়াচ খেলবে আফগানরা। দেখা যাক, ব্যর্থতা ঝেড়ে জয়ের মুখ দেখতে পারেন কি না আফগানরা। এখনও পর্যন্ত আফগানরাই একমাত্র দল যারা জয়ের মুখ দেখেনি।