2023 Durand Cup Champion MBSG:  চিরপ্রতিদ্বন্দী ইস্টবেঙ্গল এফসি-কে ১ গোলে হারিয়ে ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন হল  মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট, পড়ুন বিস্তারিত
Durand Champion Mohunbagan Photo Credit :Twitter@thedurandcup

রবিবার কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে চিরপ্রতিদ্বন্দী ইস্টবেঙ্গল এফসি-কে ১-০-য় হারিয়ে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট জিতে নিল ডুরান্ড কাপের খেতাব। তিন সপ্তাহ আগে গ্রুপ লিগ পর্যায়ে ডার্বিতে হেরে যায় তারা। সেই হারের বদলা নিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় ১৭তম ডুরান্ড কাপ জিতল ঐতিহ্যবাহী কলকাতার ক্লাব।আর এই ট্রফি জয় দিয়ে নতুন মরশুম শুরু করল আইএসএলের নক আউট চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।

এই নিয়ে ১৭তম ডুরান্ড কাপ ঘরে তুলল সবুজ-মেরুন বাহিনী। দেশের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী ফুটবল টুর্নামেন্টে তারা শেষবার খেতাব জেতে ২০০০-এ। সেবার ফাইনালে মাহিন্দ্রা ইউনাইটেডকে গোল্ডেন গোলে হারিয়ে কাপ জেতে। তার পর তিন-তিনবার তারা ফাইনালে উঠেও হেরে যায়। ২০০৪-এ ইস্টবেঙ্গলের কাছে, ২০০৯-এ চার্চিল ব্রাদার্সের কাছে এবং ২০১৯-এ গোকুলাম কেরালা এফসি-র কাছে। ২৩ বছর পরে তারা ফের স্বমহিমায় ফিরল ডুরান্ড জয় করে।

ম্যাচের শেষ ৪০ মিনিট দশ জনে খেলেও রীতিমতো লড়াকু জয় পেল তারা।এ দিন সারা ম্যাচে দুই দলই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে। কোনও পক্ষই একে অপরকে নিজেদের গোল এলাকায় এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তেও রাজি ছিল না। ফলে প্রথমার্ধে কোনও দলই একটিও শট গোলে রাখতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে দুই পক্ষই কৌশল বদলায়। যার ফলে ক্রমশ চাপ বাড়াতে শুরু করে গতবারের আইএসএল চ্যাম্পিয়নরা। ৬১ মিনিটের মাথায় মোহনবাগানের উইঙ্গার অনিরুদ্ধ থাপা দ্বিতীয় হলুদ তথা লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়ে চলে যান। ফলে শেষ ৪০ মিনিট (বাড়তি সময় সহ) তাদের দশজনেই খেলতে হয়।

তবু লড়াই ছাড়েনি সবুজ-মেরুন বাহিনী। ৭১ মিনিটে একক দক্ষতায় দুর্দান্ত গোল করে দলকে এগিয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ান ফরোয়ার্ড দিমিত্রিয়স পেট্রাটস। এই গোলেই শেষ পর্যন্ত ফাইনাল ম্যাচ জিতে নেয় মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। নির্ধারিত সময়ের পর আরও দশ মিনিট বাড়তি সময় পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল এফসি।

এ দিন বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকা (৫২-৪৮) ও প্রতিপক্ষের চেয়ে বেশি শট গোলে রাখলেও (৩-১) একটিও শট জালে জড়াতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল এফসি। মোহনবাগান সারা ম্যাচে একটিই শট গোলে রাখে এবং সেটি থেকেই গোল করে ম্যাচ ও খেতাব জিতে নেয়। তবে জিততে না পারলেও সারা মরশুমে যে দুই প্রধান সমানে সমানে টক্কর দেবে, তার ইঙ্গিত প্রথম টুর্নামেন্টেই দিয়ে রাখল ইস্টবেঙ্গল.