Viral Post: বিগ বিলিয়ন ভাওতা ! ল্যাপটপ অর্ডার করে পেলেন বাক্স ভর্তি ডিটারজেন্ট সাবান, সোশ্যাল মিডিয়ায় হল ভাইরাল

সেল সেল সেল! আর পুজোর আগে শুধু জামা কাপড়ের দোকানে বা জুতোর দোকানে সেল চলে এমন নয়। অনলাইনেও এখন চলে দেদার সেল। বিশেষ করে ফ্লিপকার্ট ও অ্যামাজনের সেলের জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকেন ক্রেতারা। ফ্লিপকার্টের বিগ বিলিয়ন ডে-র সেল মানে তো আর কথাই নেই। কমে পাওয়া যায় মোবাইল থেকে ল্যাপটপ সব কিছুই। এক ধাক্কায় প্রায় ২০ শতাংশ বা তার বেশি দাম কমে যায়। আর এই সুযোগের অপেক্ষায় বসে ছিলেন আহমেদাবাদের আইআইএম-এর এক ছাত্র যশস্বী শর্মা! বিগ বিলিয়ন সেলে তিনি একটি ল্যাপটপ কেনেন ফ্লিপকার্ট থেকে। সব টাকা পেমেন্টও করে দেন। কিন্তু তারপর যা হয়, তা ভাবতেও পারবেন না।

সময় মতো ডেলিভারি হয়ে যায় ল্যাপটপ। যদিও সে সময় বাড়িতে ছিলেন না যশস্বী শর্মা। তাঁর বাবা রিসিভ করেন প্রোডাক্ট। ফ্লিপকার্টের একটি নিয়ম আছে, ডেলিভারি বয়ের সামনেই বক্স খুলে দেখে নিতে হবে, যে আপনি যা অর্ডার করেছেন সেটাই এসেছে কিনা। এবং তারপর ডেলিভারি বয়ের পাঠানো ওটিপি অ্যাকসেপ্ট করবেন। যদি প্রোডাক্ট ভুল থাকে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ফেরত নেওয়ার রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অ্যাকাউন্টে টাকা ফেরত চলে আসবে। কিন্তু যশস্বীর বাবা সেই নিয়ম মানেননি। কারণ তিনি জানতেন না।এর পর বাড়ি ফিরে প্রোডাক্ট খুলতেই দেখা যায়, ল্যাপটপের বদলে সেখানে রয়েছে ডিটারজেন্ট সাবান। মানে কাপড় কাচার সাবান। হাজার হাজার টাকার ল্যাপটপের বদলে এল কিনা কাপড় কাচার সাবান। মাথায় হাত পড়ে যায় ওই ছাত্রের। কী আর করা সে গোটা বিষয়টা জানিয়ে ফ্লিপকার্টে মেইল করে। ছবি পোস্ট করে। এবং লিঙ্কডইনেও গোটা বিষয়টা পোস্ট করে।

তারপরেই নড়েচড়ে বসে ফ্লিপকার্ট কতৃপক্ষ। ফ্লিপকার্টের তরফে জানানো হয়, "যদিও তাঁদের ওপেন বক্স পলিসি এ ক্ষেত্রে মানেননি ক্রেতা। তাহলে সমস্যা সমাধান তখনই হয়ে যেত। তবে বিশেষকরে এই কেসটি আলাদা করে খতিয়ে দেখছে তারা! সব ঠিক থাকলে, তিন থেকে চার দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়া হবে ওই ছাত্রকে। এবং যেখান থেকে এই প্রোডাক্ট অর্ডার করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ফ্লিপকার্ট!" তবে এই পোস্ট শেয়ার হতেই ভাইরাল হয়।