Viral: বাচ্চাদের দুধ খাওয়াতে ব্রা পরল ভেড়া, সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল
ভেড়া পরেছে ব্রা(Photo Credit: Facebook)

লন্ডন, ৩১ ডিসেম্বর: বছরের শেষদিনে কিছু ছবি দেখলে আপনার মনে একই সঙ্গে মজা এবং আবেগাপ্লুত অনুভূতি হতে পারে, তা যেমন ভাল লাগায় মিশতে পারে তেমন দুঃখেও। তেমনটাই ঘটেছে ইউরোপে। বার্নাডের খামারে অনেক ভেড়া রয়েছে। তারই একটির নাম বারবারা। বারবারার চেহারাটা একটু অদ্ভুত প্রকৃতির। তার দুটি বাচ্চাও রয়েছে। এদিকে অদ্ভুত প্রকৃতির চেহারার কারণে সে বাচ্চাদের দুধ খাওয়াতে পারে না। কেননা তার বাঁট প্রায় মাটির সঙ্গে ঝুলে থাকে। এজন্য তার মালিক ও তাঁর স্ত্রী বারবারাকে ডিডি কাপের ব্রা পরিয়ে দিয়েছেন। এতে বেশ সুবিধাই হয়েছে বারবারার। বাচ্চার সময় মতো এসে খেয়ে যাচ্ছে, অথচ বাঁট মাটিতে ঝুলছে না। বার্নাড সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতেই ভাইরাল হয়েছে।

প্রায় একই ঘটনা ঘটেছে নিউজিল্যান্ডে। সেখানকার ভেড়াটির নাম রোজ। সে গর্ভবতী। ডাক্তার বলেছে, তিনটি ভ্রুণ বেড়ে উঠছে তার গর্ভে। একসঙ্গে। সেই কারণে তাঁর ওজন আশ্চর্যজনকভাবে বেড়ে গিয়েছে। তার সাসপেনসারি লিগামেন্টও (যে সব তরুণাস্থি দেহের কোনও অংশ বা অঙ্গের ভার বহন করে) এই কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তার বাঁট এতটাই ঝুলে গিয়েছে যে তা প্রায় মাটিতে ঠেকার উপক্রম। এই কারণেই ভেড়াকে অন্তর্বাস পরিয়ে রাখা হয়েছে। রোজের যাতে স্বাস্থ্যের কোনও ক্ষতি না হয় তাই তাকে পরানো হয়েছে মেটারনিটি ব্রা। মনে করা হচ্ছে এর ফলে রোজের বাঁট একটি নির্দিষ্ট শেপ ও সাইজে থাকবে। প্রজননের সময় যাতে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকে, তাতেও এই মেটারনিটি ব্রা সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে। আরও  পড়ুন-Youth Dies While Performing Stunt: চলন্ত ট্রেনে স্টান্ট দেখাতে গিয়ে কী হল? দেখুন ভিডিও

আর রোজ? অন্তর্বাস পরে তার কেমন লাগছে? ভেড়া তো আর কথা বলে নিজের ভাব প্রকাশ করতে পারবে না। তবে হাবেভাবে যা মনা হ্চ্ছে সে নেহাত অখুশী নয়। বরং সে অন্তর্বাস বেশ উপভোগ করছে। আর করবে না-ই বা কেন? আদতে তার অসুবিধা তো অনেকটাই কমেছে। তবে এই অন্তর্বাসের জন্য রোজ কিন্তু ইতিমধ্যেই বিখ্যাত হয়ে গিয়েছে। ২৪ ডিসেম্বর তার ছবি পোস্ট করা হয় ইন্টারনেটে। মুহূর্তে তা ভাইরাল। নেটিজেনরা এই অন্তর্বাস পরিহিত ভেড়াকে দেখে উচ্ছ্বসিত। কেউ বলছেন, ‘রোজ ভাগ্যবতী। কারণ তার একজন অসাধারণ মালিক রয়েছে।’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘বেশ মজা তো!’ কেউ এমন আইডিয়ার মন খুলে প্রশংসা করেছেন।