দলিত হয়ে মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টায় অপরাধ, রাজস্থানে  কিশোরকে গারদে পুরল পুলিশ
দলিত কিশোরকে বেঁধে মারধর(Photo and Video credit: Twitter)

জয়পুর, ৫জুন: মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টা করছিল, এই অপরাধে এক দলিত কিশোরকে বেধড়ক পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিল জনতা। অভিযোগ, এখানেই লাঞ্ছনার সমাপ্তি ঘটেনি। একটু পরে সেই প্রহৃত কিশোরের বিরুদ্ধে নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনে আক্রমণকারীরা। সেই অভিয়োগেই জেলের ঘানি টানছে ওই কিসোর। ঘটনাটি চলতি মাসের এক তারিখে ঘটলেও মারধরের ভিডিওটি এদিন প্রকাশ্যে আসতেই ভাইরাল হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই এহেন ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে পুলিশ জনতা তরজা।  আরও পড়ুন- লথীশা আনসারি, বন্ধু অক্সিজেন সিলিন্ডার ও সঙ্গী হুইল চেয়ারকে নিয়েই দিলেন ইউপিএসসি পরীক্ষা

সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিয়োতে (Mass beaten Video) দেখা যাচ্ছে, ওই কিশোরের হাত ও পা একসঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তাকে ঘিরে এক দল যুবক। অনেকেরই গেরুয়া পোশাক। কিছুক্ষণের মধ্যেই মাটিতে শুয়ে পড়া ওই কিশোরকে পেটানো শুরুকরল দু’-তিন জন। অসহায়ের মতো আর্তনাদ করে চলেছে ওই কিশোর। সঙ্গে রাজস্থানী ভাষায় বারবার কিছু বলার চেষ্টা করছে। সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ‘ভুল হয়ে গিয়েছে’, ‘আর কখনও হবে না’, এসব বলেও রেহাই মেলেনি। সেসবের তোয়াক্কা না করেই কিশোরকে বেধড়ক পেটাচ্ছে যুবকের দল। এদিকে মারধরের কারণ জানার পরেও ওই আক্রান্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু বয়সের কারণে জুভেনাইল হোমে পাঠাতে বাধ্য হয়। স্বাভাবিক ভাবেই পুলিশের ভুমিকায় প্রশ্ন উঠেছে। নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগে কিশোরকে গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ। কিন্তু যারা ওই কিশোরকে এ ভাবে হাত-পা বেঁধে নৃশংস ভাবে পেটাল, এবং সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ার পরও কেন পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করল না, তা নিয়ে সরব স্থানীয় বাসিন্দারা।

এরপর পুলিশের সাফাই, ওই নাবালকের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ দায়ের করেছেন তারই এক কাকা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পকসো (POCSO)প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস) আইনে তাকে আটক করে হোমে পাঠানো হয়েছে। উল্টে নিগ্রহকারীদের এক জনও ধরা পড়েনি।