তেহট্ট, ১২ ডিসেম্বর: দীর্ঘদিন ধরেই চাকরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিতে দিতে জুতোর শোল খয়ে গেছে অনেকটা। কেউ বিএ, কেউ এমএ বা কেউ পিএচডি পর্যন্ত করে ফেলেছেন। তবুও মিলছে না চাকরি। শেষ পর্যন্ত ভগবানের হাতেই নিজেদের ভাগ্য ছাড়লেন তাঁরা। তাই শরণাপন্ন বলেন এক দেবতার। ধুমধাম করে করলেন মহর্ষি নারদের (Narada) পুজো। খবর ছড়িয়ে পড়তেই পুজোয় সামিল হয়েছেন আশপাশের গ্রামের আরও বেকার যুবক-যুবতী এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও। ঘটনাটি নদিয়ার (Nadia) তেহট্ট (Tehatta) থানার বেতাই সাধুবাজার এলাকায়। এলাকার যুবক-যুবতীদের বক্তব্য, যদি পুজোয় সন্তুষ্ট হয়ে মহর্ষি নারদ স্বর্গে তাদের দুঃখ-কষ্টের কথা স্বর্গে জানান।
এশিয়ানেট বাংলার (Asianet Bangla) খবর অনুযায়ী, পুজোতে কোনও খামতি রাখেনেনি যুবক ও যুবতীরা। পুজো পাঠের পাশাপাশি হয় হোম-যজ্ঞ ও প্রার্থনা। সাধুবাজারের চাপাগাড়া মাঠে পুজো হয়। এলাকার বাসিন্দা ও বেকার যুবক সুজিত বাগ জানান, মহর্ষি নারদ স্বর্গ-মর্তের প্রথম সাংবাদিক। তাই তাঁর মাধ্যমে আমাদের মতো বেকার দুঃখ-কষ্টের কথা স্বর্গে জানাতে চাই। তিনি বলেন, "আমার মতো এলাকার প্রচুর ছেলে-মেয়ে পড়াশোনা শেষ করেছে। তবুও কেউ চাকরি পাননি। তাই মহর্ষি নারদ একমাত্র পারেন আমাদের বেকারত্ব দূর করতে।" আরও পড়ুন: Two-Headed Snake Found: সাতসকালে গ্রামের পথে দুমুখো সাপ, শোরগোল বেলদায়
পুজোর পুরোহিত অমূল্য চক্রবর্তী বলেন, "এলাকার প্রচুর ছেলে-মেয়ে বিএ, বিএড করে বসে আছে। তারা আজও চাকরি পায়নি। তাই তারা নারদ পুজো করার সিদ্ধান্ত নেয়। কারণ মহর্ষি নারদই পারে একমাত্র তাদের কথা স্বর্গে পৌঁছে দিতে।"