আনলকে ধাপে ধাপে সবকিছু খুললেও সংক্রমণের ভয়ে চিড়িয়াখানা যাওয়া বন্ধ, কিন্তু তাই বলে কী সেই স্বাদ থেকে বঞ্চিত হবে আমজনতা! এবার অটোরিকশাতে ভ্রমণের সময়ই পাবেন চিড়িয়াখানার স্বাদ, অভিনব এই উদ্যোগ নিয়েছেন ভূবনেশ্বরের অটোচালক সুজিত দিগাল। নিজের অটোটাকেই ভরিয়ে দিয়েছেন গাছপালায়, রয়েছে ছোট একটি অ্যাকুরিয়াম, ছোট্ট একটি খাঁচা এবং খরগোশ।
লকডাউনের জেরে বন্ধ ছিল রুটি-রুজি, নিজের পরিবারের কাছেও ফিরতে পারেননি বাস-ট্রেন বন্ধ থাকার জন্য। পরিবারের সকলকে ছেড়ে এই কঠিন সময় কাটাতে গিয়ে তিনি যখন হাঁপিয়ে উঠছিলেন, ঠিক তখনই সুজিতের মাথায় আসে এই অভিনব পদ্ধতি। একাকীত্ব কাটাতে এই অভিনব উদ্যোগ নেন সুজিত।
অটোচালক সুজিত দিগালের কথায়, "বহু মাস হয়ে গেছে, আমি বাড়ি যেতে পারিনি। একা একা থাকতে ভাল লাগত না। তাই নিজের অটোটাই তৈরি করেছি গাছপালা আর পশুপাখি নিয়ে। এতে কিছুটা হলেও গ্রামের অনুভূতি পাই।" ব্যস্ত দুনিয়ায় কিছুটা শান্তি খুঁজে নিতেও তৈরি করেছেন তিনি এই মিনি-জু। তবে সুজিতের মিনি-জু দেখে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন, গাছপালা অটোতে রাখা ঠিক থাকলেও খরগোশ, মাছ এবং পাখি নিয়ে আতঙ্ক প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
চলন্ত অটোয় গাছ রাখাটা আজকারদিনে একটি নতুন আর্ট। কলকাতা, পুনে-সহ বেশ কিছু শহরেই খুঁজলে এমন বেশ কয়েকটি গাড়ি কিংবা অটোর সন্ধান পেয়ে যাবেন। তবে সুজিতের চিন্তাভাবনাটা ছিল আরও কিছুটা অন্য। আর এতেই বেঁধেছে সামান্য সমস্যা। মাছ এবং খাঁচায় বন্ধ পাখিদের থাকতে সমস্যা হতে পারে, তা নিয়েই সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকে। এছাড়া রাস্তায় ট্রাফিকও থাকবে। ঝড়,জল, বৃষ্টির সময়ে এভাবে ট্রাফিকে আটকে থেকে আদৌ কী ভাল থাতবে