কোট্টাম/তিরুবনন্তপুরম, ১৭ এপ্রিল: কর্মক্ষেত্রে কঠিন রোগ ভুগছে ছেলে। লকডাউনের মধ্যেই ২৭০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ছেলের কাছে পৌঁছালেন মা। ছেলে অরুণ কুমার(২৯) বিএসএফ জওয়ান। তিনি রাজস্থানের যোধপুরে কর্মরত। মায়োসাইটিসে আক্রান্ত অরুণ কুমার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাসপাতালের তরফে এক মালয়লি চিকিৎসক ওই জওয়ানের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। জানান, অরুণ কুমার মাকে দেখতে চেয়েছেন। এই অবস্থায় তাঁকে তো আর কেরালার বাড়িতে নিয়ে যায় না। পরিস্থিতি বিবেচনা করে গত ১১ এপ্রিল বউমা পার্বতীআন্দকে সঙ্গে নিয়ে যোধপুরের উদ্দেশে রওনা দেন অরুণ কুমারের মা শিলাম্মা ভাসান(৫০) (kerala woman)। তাঁদের সঙ্গে এক আত্মীয়ও ছিলেন। যোধপুরে পৌঁছে শিলাম্মা বলেন, ভগবানের আশীর্বাদে সুস্থভাবেই পৌঁছে গেছি।
ছেলের কাছে পৌঁছে তিনি ধন্যবাদ দিতে ভোলেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি মুরলীধরন, কংগ্রেস নেতা ওম্মেন চান্ডিকে। তাঁদের সৌজন্যেই লকডাউনের মধ্যে ছয়টি রাজ্য পেরোনোর পাস জোগাড় করতে পেরেছেন। কেরালার কোট্টামের কোরুথদু পঞ্চায়েতের পানাকাচিরা গ্রামে অরুণ কুমারের বাড়ি। ১১ তারিখে যাত্রা করে ১৪ এপ্রিল কেরালার নববর্ষের দিন তাঁরা যোধপুরে পৌঁছে যান। আরও পড়ুন-RBI Governor Shaktikanta Das: করোনার বাজারে ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পে ৫০ হাজার কোটির আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা রিজার্ভ ব্যাংকের
বাড়িতে ছুটি কাটিয়ে ফেরার পরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। দীর্ঘ অসুস্থতায় মাকে ও স্ত্রীকে দেখতে চেয়েছিলেন। তাইতো ২৭০০ কিমি পাড়ি দিয়ে তাঁরা এসেছেন। অরুণ কুমারের এক বছরের শিশু সন্তান কিন্তু কেরালাতেই আছে। এই লকডাউনের বাজারে তেলেঙ্গানা থেকে স্কুটিতে ১৪০০ কিমি পাড়ি দিয়ে ছেলের কাছে পৌঁছেছিলেন মা। ছেলে অন্ধ্রপ্রদেশে ছিল। অন্ধ্রপ্রদেশের রেহমাতাবাদিনে পড়াশোনা করে ছেলে। এদিকে লকডাউন হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় বোধন শহরের শিক্ষিকা রাজিয়া সুলতানা ছেলেকে ফেরাতে বোরখা পরেই স্কুটি চালিয়ে চলে যান অন্ধ্রপ্রদেশে।