Uttar Pradesh: ছেলের প্রাক্তন স্ত্রী-কে বিয়ে করল বাবা, প্রাক্তন স্ত্রী-র সন্তান এখন সম্পর্কে ভাই
প্রতীকি ছবি সংগৃহিত

বাদাউন, ৪ জুলাই: সম্পর্কগুলো একটু গুলিয়ে ফেলার মানসিকতা নিয়েই পড়ুন এই অবাক করা খবরটা। ছেলের প্রাক্তন স্ত্রী-কে বিয়ে করে ঘরে তুলল তার বাবা। ছেলে সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখল ক দিন আগেই যাকে সে স্ত্রী বলে ডাকত, সেই এখন তার মা। এখানেই শেষ নয়, তারপর সে জানল তার প্রাক্তন স্ত্রী-র ছেলে এখন তার ভাই। মানে ছেলেটির বাবার নতুন স্ত্রী, যে তাঁর পুরনো স্ত্রী সে মা হয়েছে বাবার সঙ্গে সংসার করার পর। দাঁড়ান, দাঁড়ান। খবরটার এটুকু পড়েই আপনি যতটাই বিভ্রান্ত, ততটাই এই ঘটনায় ছেলেটির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামা পুলিশ অফিসারও বিভ্রান্ত। তাই সেই পুলিশ অফিসার বারবার টিভি চ্যানেলের সামনে এই কেসের সম্পর্কগুলো গুলিয়ে ফেলতে লাগলেন, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যাই হোক আসল খবরে ফেরা যাক। আরও পড়ুন: নিজের বাবার সঙ্গে স্ত্রী-য়ের শারীরিক সম্পর্ক দেখে ক্ষুব্ধ স্বামী কুপিয়ে খুন করল দু জনকেই

উত্তরপ্রদেশের বাদাউনে ২০১৬ সালে নাবালক থাকা অবস্থায় গ্রামেরই এক মেয়েকে বিয়ে করে ছেলেটি। ৬ মাস পরে দুজনের ডিভোর্স হয়ে যায়। ছেলেটির বিরুদ্ধে মেয়েটির অভিযোগ ছিল, মদ্যপ অবস্থায় তাঁকে হেনস্থা করা হয়। যদিও ছেলেটি সে সময় ক্ষমা চেয়ে মেয়েটির সঙ্গে সংসার করতে চায়, কিন্তু মেয়েটির আপত্তিতে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এর কয়েক বছর পর ছেলেটি শোনে তার বাবা তাকে ছেড়ে সম্বল নামের অন্যত্র এক জায়গায় থাকছে। তাতে ছেলেটি আর্থিক কষ্টে পড়ে যায়।

এরপর সে জানতে পারে তার বাবা তার সেই ডিভোর্স হয়ে যাওয়া স্ত্রী-কে বিয়ে করে আলাদা সংসার করছে। তাদের সন্তানও হয়েছে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে বাবার বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে নিজের প্রাক্তন স্ত্রী-কে ফিরে পেতে মরিয়া হয় ছেলেটি। ছেলেটির উদ্বিগ্ন অবস্থা দেখে পুলিশ বাবা-ছেলের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে রাজি হয়। কিন্তু বাবা-ছেলে দুজনেই মেয়েটিকে স্ত্রী হিসেবে পেতে রীতিমত হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে পুলিশের সামনে। শেষ অবধি পুলিশ সেই ঝামেলা থামায়। মেয়েটি জানায় সে তার দ্বিতীয় পক্ষের স্বামীর সঙ্গেই ভাল আছে, এবং তাঁর সঙ্গেই জীবনের বাকিটা সময় কাটাতে চায়। দুজনেই নাবালক থাকায়, ছেলেটি প্রথম বিয়ের কোনও আইনি কাগজপত্র জমা দিতে পারেনি। ফলে কোনওকম কেস হয়নি। তবে বাবা-ছেলে দুজনেই আইনি নোটিশ পেয়েছেন। ছেলেটির বাবা স্যানিটাইজেশনের কাজ করে, বয়স ৪৮। বছর ২০-র বয়সের ছেলেটি বেকার।