Unknown Facts About Netaji Subhas Chandra Bose: বীর পুরুষের ১২৮ তম জন্মদিনের আগে তাঁর জীবনের কিছু অজানা কাহিনি রইল
Netaji (Photo Credit: Wikipedia)

Unknown Facts About Netaji: বীর সন্তান সুভাষচন্দ্র বসু দেশবাসীর উদ্দেশ্যে উদ্যত কণ্ঠে বলেছিলন, ‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা এনে দেবো’। দেশের অন্যতম স্বাধীনতা সংগ্রামী ব্যক্তি সুভাষচন্দ্র বসু (Subhas Chandra Bose)। দেশ স্বাধীনে দেশবাসীকে উদ্ভুত করে ছিলেন তিনি। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে জনসাধারণের মধ্যে প্রেরণা জুগিয়েছিলন। সুভাষ চন্দ্র বসু ১৮৯৭ সালে ওড়িশার কটকে একটি বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। অপরাজেয় বঙ্গসন্তানের ১২৮ তম জন্মবার্ষিকী (128th Birthday Anniversary) উপলক্ষ্যে তাঁর জীবনের কিছু অজানা কাহিনি জেনে নেয়া যাক -

ছেলেবেলা থেকেই সুভাষচন্দ্র বসু পড়াশুনায় খুব মনোযোগী ছিলেন।  ১২ বছর বয়সে তিনি কটকের র‌্যাভেনশা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন। তারপর তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ ও স্কটিশ চার্চ কলেজে পড়াশোনা করেন। ভারতীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় সারা দেশের মধ্যে চতুর্থ স্থান অর্জন করেন তিনি।

১৯২০ সালে ইংল্যান্ডে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান পেয়ে সুভাষ চাকরি শুরু করেন। কিন্তু ব্রিটিশ সরকারের অধীনে তিনি চাকরি করতে চাননি। একবছর পরই ইস্তফা দেন। ১৯২১ সালে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এবং মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে যোগ দেন। তরুণ সুভাষের রাজনৈতিক শিক্ষাগুরু ছিলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। তিনি ১৯৩৮ সালে দলের সভাপতি হন। তবে জাতীয় আন্দোলনের বিষয় নিয়ে গান্ধীর সঙ্গে মতপার্থক্য দেখা দেয়। বোস ১৯৩৯ সালে পদত্যাগ করেন।

সুভাষ চন্দ্র বসুকে ব্রিটিশরা গৃহবন্দি করে, তিনি ১৯৪১ সালের ১৭ই জানুয়ারি পাঠান সেজে মহম্মদ জিয়াউদ্দিন নামে কলকাতা থেকে পেশোয়ার চলে যান। সেখান থেকে আফগানিস্থান, রাশিয়া, ইতালি হয়ে জার্মানি পৌঁছেছিলেন। আরও পড়ুন: Subhas Chandra Bose Jayanti 2024: সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৭ তম জন্মবার্ষিকীর আগে তাঁর সম্পর্কে কিছু আকর্ষণীয় তথ্য রইল

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১৯৩৭ সালে তাঁর সেক্রেটারি এবং অস্ট্রেলিয়ান যুবতী এমিলির সঙ্গে বিয়ে হয়। এরপর ১৯৪২ সালে ২৯ নভেম্বর তাঁদের একমাত্র কন্যা অনিতা বসুর জন্ম হয়। অনিতা বসু পাফ বর্তমানে জার্মানিতে থাকেন।

১৯৪৩ সালে নেতাজির নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ ফৌজ ইংরেজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।১৯৪৪ সালে আজাদ হিন্দ ফৌজ ভারতের মাটি ইম্ফলে স্বাধীন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে। তবে বিশ্বযুদ্ধে জাপানের পরাজয় আজাদ হিন্দ বাহিনীকে দুর্বল করে তুলেছিল।

১৯৪৫ সালের ১৮ অগাস্ট তাইপেইতে বিমান দুর্ঘটনার পর থেকে নেতাজির আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার পর নেতাজি মারা গিয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়। কিন্তু তারপরও নেতাজির মৃত্যু এবং নিখোঁজ নিয়ে একাধিক রহস্য ঘনীভূত হয়।