কাশ্মীরে তুষারপাত (Photo Credits: IANS)

শ্রীনগর, ৯ ডিসেম্বর: অগাস্ট মাসে ৩৭০ (Article 370) ধারা প্রত্য়াহারের পর থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) পর্যটন শিল্প (Tourism Sector) একেবারে ভেঙে পড়েছে। দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আনাগোনা তলানিতে ঠেকেছে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে কাশ্মীরে পর্যটক যাওয়ার বিষয়ে অনুমতি দেয় সরকার। তা সত্ত্বেও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। স্থানীয়দের বক্তব্য, ইন্টারনেট ও যোগাযোগে নিষেধাজ্ঞা পর্যটন শিল্প চাঙ্গা হওয়ার পথে প্রধান অন্তরায়। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার(Times Of India) কাছে থাকা প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, জুলাই থেকে নভেম্বর, এই চার মাসে ডোমেস্টিক ট্যুরিজম (domestic) প্রায় ৮৭ শতাংশ কমেছে। ২০১৮ সালে এই মাসগুলিতেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় ২ লাখ ৪৯ হাজার পর্যটক কাশ্মীর ঘুরতে গেছিলেন। তবে, এই বছর এই সংখ্যা প্রায় ৩২ হাজার ৪১১ এ দাঁড়িয়েছে। তার মধ্যে নভেম্বর মাসেই সবচেয়ে বেশি পর্যটক কাশ্মীরে এসেছেন। সেই সংখ্যা হল ১০ হাজার ৯৪৬ জন।

তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের এই সময়ের থেকে চলতি বছরের এই সময়ে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা কমেছে প্রায় ৮২ শতাংশ। গত বছরের অগাস্ট থেকে নভেম্বরের মধ্যে বিদেশ থেকে ১৯ হাজার ১৬৭ জন পর্যটক ঘুরতে এসেছিলেন উপত্যকায়। আর এ বছর সেই সংখ্যা ৩ হাজার ৪১৩। জানা যাচ্ছে, মন্দার জেরে সমস্যায় হোটেল ব্যবসায়ীরা। শ্রীনগর, গুলমার্গ এবং কাশ্মীরের অন্য পর্যটন কেন্দ্র অঞ্চলগুলির হোটেল অপারেটররা প্রশাসনের কাছে কয়েকটি নির্বাচিত স্থানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করতে অনুরোধ করেছে। তাদের দাবি, এতে পর্যটকরা কাশ্মীর আসতে উৎসাহিত হবেন। তাদের আরও দাবি, ইন্টারনেট না থাকার কারণে বিদেশি পর্যটকরা আসতে চান না। কারণ তাঁরা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হারানোর ভয় পান। আরও পড়ুন:  আজ সংসদে পেশ নাগরিকত্ব বিল ২০১৯, বিরোধিতায় নেমেছে গোটা দেশ, অসমে বনধের পরিস্থিতি

জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর গিরিশ মুর্মু (Lieutenant Governor Girish Murmu) গত সপ্তাহে জানান যে, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তৎপরতা রোধে যোগাযোগের উপর নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজন। তাঁর দাবি, "আগামী দিনে ইন্টারনেট লাইন চালু করা হবে। ইন্টারনেট সংযোগ ধাপে ধাপে চালু করা হবে।