
কর্ণাটকের হাম্পি শহর পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। তুঙ্গভদ্রা নদীর তীরে অবস্থিত হাম্পি শহরটি সুন্দর মন্দির, ধ্বংসাবশেষ এবং সমৃদ্ধ ইতিহাসের জন্য জনপ্রিয়। এই শহরটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে ইউনেস্কো। প্রতি বছর এই শহরে হাম্পি উৎসবের আয়োজন করা হয়, যা বিজয়া উৎসব নামেও পরিচিত। এটি কর্ণাটকের হাম্পিতে অনুষ্ঠিত একটি প্রধান সাংস্কৃতিক উৎসব। ২০২৫ সালে হাম্পি উৎসব শুরু হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি এবং শেষ হবে ২ মার্চ। হাম্পি উৎসব তিন দিন ধরে পালন করা হয়, যেখানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্যে রয়েছে ভরতনাট্যম, কর্ণাটক সঙ্গীত, ঐতিহ্যবাহী নৃত্য-নাটক এবং যক্ষগানার মতো লোকনৃত্যের পরিবেশনা।
পুতুল নাচের মাধ্যমে ঐতিহাসিক ও পৌরাণিক গল্প উপস্থাপন করা হয় হাম্পি উৎসবে। যোগাসনে উৎসাহীদের জন্য বিশেষ সেশনের আয়োজন করা হয় এখানে। জাম্বু সাভারি নামে বিজয়নগর সাম্রাজ্যের মহিমা প্রদর্শনকারী সুসজ্জিত হাতির একটি রাজকীয় শোভাযাত্রা হয় হাম্পি উৎসবে। ১ এবং ২রা মার্চ বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে ভিনটেজ কার র্যালি এবং বাইক স্টান্ট প্রদর্শন করা হয়। পর্যটকদের জন্য হেলিকপ্টার থেকে হাম্পির সুন্দর দৃশ্য দেখার সুযোগ করা হয়, যার নাম 'হাম্পি বাই স্কাই' হেলিকপ্টার পরিষেবা। হাম্পি উৎসবে অংশগ্রহণ করার জন্য তিনটি পরিবহনের মাধ্যমেই পৌঁছানো যেতে পারে, বিমান রেল এবং সড়ক।
হাম্পির নিকটতম বিমানবন্দর হল বিদ্যানগর বিমানবন্দর, যা হাম্পি থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখান থেকে ক্যাবে করে হাম্পি উৎসবে পৌঁছানো সম্ভব। ট্রেনে করে হাম্পি যাওয়ার জন্য নিকটতম রেলস্টেশন হল হোসপেট জংশন, যা হাম্পি থেকে প্রায় ১৩ কিমি দূরে অবস্থিত। হাম্পি সড়কপথে প্রধান শহরগুলির সঙ্গে সুসংযুক্ত। বাস, ট্যাক্সি বা ব্যক্তিগত যানবাহনেও পৌঁছানো যেতে পারে হাম্পি উৎসবে। এই উৎসব চলাকালীন, স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ পরিবহন সুবিধা এবং পর্যটন পরিষেবা প্রদান করা হয় যাতে পর্যটকদের কোনও ধরণের অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয়। এই উৎসবের সময় প্রচুর সংখ্যক পর্যটক হাম্পি ভ্রমণ করেন, তাই হোটেল এবং পরিবহন আগে থেকেই বুকিং করতে হয়।