আজ ১২ জানুয়ারি, ১৮৬৩ সালে আজকের দিনে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন স্বামীজি। যার ১০০ বছরেরও বেশি সময় পর থেকে আজকের দিনটি অর্থাৎ ১২ জানুয়ারিকে জাতীয় যুব দিবস হিসেবে পালন করা হয়।১৯৮৪ সালে তৎকালীন সরকার ১২ জানুয়ারি অর্থাৎ স্বামীজির জন্মদিনটিকে জাতীয় যুব দিবস হিসেবে পালনের চিন্তাভাবনা করে। পরে ১৯৮৫ সাল থেকে এই দিনে জাতীয় যুব দিবস পালিত হয়ে আসছে।মানুষ গড়ার কারিগর স্বামীজি দেশ ও জাতি গঠনে তরুণ তরুণীদের এগিয়ে আসার ওপর বারবার জোর দিয়েছেন। স্থবির, জড় সমাজকে ঘা দিয়ে জাগিয়ে তোলার জন্য বলেছিলেন, গীতা পাঠের থেকে ফুটবল খেলা ভাল। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে যে সীমাহীন ক্ষমতা লুকিয়ে রয়েছে তা উদঘাটন করার কথা বলেছেন তিনি। ব্রিটিশ শাসনে ইতি করে দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার জন্যও তরুণদের প্রেরণা দেন তিনি। তিনি বলেন, পচাগলা এই সমাজ শেষ হোক, বেরিয়ে আসুক নতুন ভারত। লাঙল ধরে, চাষার কুটির ভেদ করে, ভুনাওয়ালার উনুনের পাশ থেকে। এই আমাদের উত্তরাধিকারী, ভবিষ্যৎ ভারত।আদর্শের জন্য প্রাণ পর্যন্ত বিসর্জন দিতে যুবক যুবতীদের উৎসাহ দেন তিনি। যে পরিবর্তন তিনি জাতীয় ও সমাজ জীবনে দেখতে চেয়েছিলেন, তাঁর আশা ছিল, তা আসবে তরুণ প্রজন্মের হাত ধরে।

বিবেকানন্দের দর্শনের প্রতি শ্রদ্ধায় ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তাঁর আদর্শে উদ্বুদ্ধ করতে লেটেস্টলি বাংলার তরফ থেকে রইল তাঁর অনুপ্রেরণার বাণী সম্বলিত শুভেচ্ছা পত্র।