সুজি গডসন। (Photo Credits: Twitter)

Suzi Godson। সুজি, সুজি, সুজি। যৌন জীবনের যে কোনও সমস্যায় গোটা আয়ারল্যান্ড এখন এই নামটাই করে। আয়ারল্যান্ড তো বটেই, গোটা গ্রেট ব্রিটেনের এখন যৌনতা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরপত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে সুজি-র লেখা, সুজি-র শো। এক ওয়েবসাইটের বিচারে সুজি এখন 'এক নম্বর সেক্স গুরু'।

শুধু উত্তরপত্র কেন, যৌনতা নিয়ে সুজি-র সাজেশন পেপারটাও নাকি এত কাজের হয় বিছানায় গেলে অনেক কঠিন প্রশ্ন পুরো কমন পড়ে উত্তর লিখে ফেলা যায়। সুজির সেক্স গুরু হয়ে ওঠার কাহিনিটা গোড়া থেকে শুনলে চমকে যেতে হয়। আরও পড়ুন-ধোনি যেভাবে হৃদয় জেতেন পাক সুন্দরী নায়িকা মাহিরা খানের

সুজি গডসন গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে পড়াশোনা করার পর লন্ডন ইউনিভার্সিটি থেকে মনোবিদ্য়ায় এমএসসি করন। সেখান থেকেই মানুষের মনের সঙ্গে যৌনতার বিষয়ে আগ্রহ চেপে বসে সুজি-র। কাজের ফাঁকে প্রতিদিন রাতে সুজি এই নিয়ে লিখে ফেলল বই। বইটার নাম-'সেক্স বুক'। একেবারে সাধারণ নামের মোড়কে একেবারে অনবদ্য এই বইটা ঝড় তুলে দিয়েছিল। সুজি-র সেক্স গুরু হয়ে ওঠার সেই শুরু। এরপর ২০০২ সাল থেকে আয়ারল্যান্ডের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় যৌনতা বিষয়ে লেখালেখি শুরু। সুজি-র লেখায় যৌনতা বিষয়টা যেমন আকর্ষক হয়ে ওঠে, তেমনই তাঁর ব্য়াখা সহজ সরল বিজ্ঞানসম্মত। লেখালেখি থেকে শুরু প্রশ্নোত্তরে। এক সংবাদপত্রে যৌনতায় বিষয়ক নানা প্রশ্নের জবাব দিয়ে সুজি সবার পছন্দের হয়ে ওঠেন। ধীরে ধীর গোটা দেশের যৌনতা প্রশ্নের উত্তরপত্রের লেখিকা হয়ে ওঠেন তিনি।

সুজি তিন সন্তানের মা। বর একজন সফল ব্যবসায়ী। সুজি-কে ব্যস্ত থাকতেই হয় মানুষের যৌন জিজ্ঞাসার সঠিক উত্তরের। এখন সুজি-র যৌনতা সংক্রান্ত জিজ্ঞাসার আলাদা শো, ওয়েবসাইট আছে। সুজি যত উত্তর দেন, প্রশ্ন যেন তত বেড়ে যায়। কারণ আচ্ছা আচ্ছা কঠিন জিনিসও সহজে উত্তর দিয়ে মানুষকে সাহায্য করে ফেলেন। সুজি বলেন, ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময়ই দেখেছিলেন, সব মানুষের একটা কমন সমস্যা। যৌনতা নিয়ে নানা জিজ্ঞাসাটা করার সঠিক লোক থাকে না। হয় প্রশ্নটা কাউকে করা যায় না। কিংবা যদি কাউকে করা যায় , সে উত্তর দিতে পারে না।

এই সুযোগটা কাজে লাগিয়েই সুজি আজ 'সেক্স গুরু'। এই তকমাটা নিয়ে সুজির রোজগার অনেক। সুজি সুখিও আছেন।