
কামারপুকুরের এক ব্রাক্ষ্মণ পরিবারে জন্মেছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। বাবা ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় এবং মা চন্দ্রমণি দেবীর চতুর্থ সন্তান রামকৃষ্ণ দেব। ১৮৩৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি চন্দ্রমণি দেবীর কোল আলো করে জন্ম নেন রামকৃষ্ণ দেব। ফাল্গুন মাসের দ্বিতীয় তিথিকে রামকৃষ্ণ দেবের জন্মদিন হিসেবে ধরা হয়। সেই অনুযায়ী এবার ৪ মার্চ পালিত হবে পরমহংস দেবের জন্মতিথি।
পরমহংসদেব এমন একজন ব্যক্তি, ১৯ শতকে যিনি বাঙালির নবজাগরণে অন্যতম ভূমিকা নেন। বাঙালিকে যিনি নতুন দিশা দেখিয়েছিলেন। বিবেকানন্দ থেকে শুরু করে গিরিশ ঘোষ কিংবা নটি বিনোদিনী, প্রত্যেকের জীবনে এক অন্যমাত্রা যোগ করেছিলেন রামকৃষ্ণদেব।
শোনা যায়, রামকৃষ্ণদেবের জন্মের আগে ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় এবং চন্দ্রমণি দেবী এক দিব্য স্বপ্ন দেখেছিলেন। ফলে চন্দ্রমণি দেবীর গর্ভের চতুর্থ সন্তানের নাম রাখা হয় গদাধর। এবার রামকৃষ্ণ দেবের ১৮৬তম জন্মদিন। রামকৃষ্ণদেবের জন্মতিথি অনুসারে দেখুন তাঁর অমোঘ বাণী...
১- সবার মধ্যে ঈশ্বর বর্তমান। এমনই প্রত্যক্ষ করেছিলেন রামকৃষ্ণদেব।
২- সব ধর্ম সত্য। যে কোনও ধর্মের পথ অনুসরণ করে ঈশ্বরের কাছে পৌঁছনো যায়।
৩- ভগবান সর্বত্র আছেন। প্রত্যেক কণায় আছেন।
৪- বহুনামে ঈশ্বর আছেন। ঈশ্বরকে কী নামে ডাকা হয়, তা বড় বিষয় নয়। ভালবেসে ঈশ্বরের প্রার্থনা করতে হয় বলে মনে করতেন রামকৃষ্ণদেব।
৫- পরমহংসদেবের কথায়, শুদ্ধ জ্ঞান এবং শুদ্ধ প্রেম একই জিনিস।
৬- সত্য বলতে কখনও ভয় পেলে চলবে না। সত্যের মাধ্যমেই ঈশ্বর দর্শন সম্ভব বলে মনে করতেন রামকৃষ্ণদেব।
৭- যদি ঈশ্বরের দেওয়া শক্তির সৎ ব্যবহার করা না হয়, তাহলে পরমেশ্বর কখনও দ্বিতীয়বার কারও দিকে কৃপা দৃষ্টি দেন না বলে মনে করতেন রামকৃষ্ণদেব।