Credit: Pixabay

গর্ভাবস্থায় ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি শরীরের জন্য জরুরি। এর ফলে প্রসবের সময় এবং পরে ভালো থাকে মহিলাদের হাড়ের স্বাস্থ্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভবতী মহিলার হাড়ের স্বাস্থ্য গর্ভাবস্থার আগে এবং পরে পরিবর্তন হতে পারে। একজন মহিলা গর্ভবতী হওয়ার সময় ভ্রূণের বিকাশের জন্য তার শরীরে অনেক পরিবর্তন ঘটে, এই পরিবর্তন প্রভাব ফেলতে পারে হাড়ের স্বাস্থ্যের। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইস্ট্রোজেন, যা হাড়কে শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে, গর্ভাবস্থায় এই ইস্ট্রোজেন উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়।

শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব এবং রক্তশূন্যতা হাড়ের ক্ষতির কারণ হতে পারে। গর্ভাবস্থার হাড়ের এই ক্ষতি আরও বৃদ্ধি পায়। ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি অভাব সহ কিছু মহিলার গর্ভাবস্থা-সম্পর্কিত অস্টিওপরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই মহিলাদের সাধারণত প্রসবের সময় বা প্রসবের ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে হাড়ে ভাঙন ধরে। তাই গর্ভাবস্থার আগে এবং গর্ভাবস্থার সময় শরীরের সঠিকভাবে যত্ন নেওয়া উচিত।

বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভাবস্থায় ক্যালসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ। প্রোজেস্টেরন এবং অন্যান্য হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে গর্ভাবস্থা একটি অত্যন্ত বিপাকীয় অবস্থা। মা এবং শিশুর জন্য ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীয়তা বেশি। যেকোনও ধরনের অস্টিওপোরোসিস এড়াতে ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। সন্তান জন্মের পর ইস্ট্রোজেনের মাত্রা আরও কমে যায়। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় মেরুদণ্ড, নিতম্ব এবং কব্জিতে। শিশুর জন্মের পর প্রায় ছয় মাস ধরে দ্রুত হ্রাস পায় হাড়ের শক্তি।