Credit: ANI

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমান অনুযায়ী মুখের ক্যান্সারের (Oral Cancer) সংখ্যা ২০২০-২০২৪ সালের মধ্যে বৃদ্ধি পেতে পারে ৫০ শতাংশেরও বেশি। আনুমানিক ৬০ জনের মধ্যে একজনের হতে পারে মুখের ক্যান্সার। এক গবেষণায় জানা গেছে, পুরুষদের মধ্যে ক্যান্সারের প্রধান কারণ মুখের ক্যান্সার, যা প্রায় ৪০ শতাংশ দায়ী, যেখানে মহিলাদের ক্ষেত্রে এটি ৬ শতাংশ। ক্যান্সারের তালিকায় তিনজনের মধ্যে একজন হতে পারে মুখের ক্যান্সার। জেলার ৪৮ জনের মধ্যে ১ জন পুরুষের ঝুঁকি রয়েছে মুখের ক্যান্সারের। গ্রামীণ এলাকার তুলনায় শহর এলাকায় ক্যান্সারের প্রকোপ ৩৮ শতাংশেরও বেশি।

ওরাল ক্যান্সার বা মুখের ক্যান্সার (Oral Cancer) হল মুখের একটি মারাত্মক রোগ, যা জিহ্বা, ভিতরের গাল, উপরের এবং নীচের চোয়ালের অংশকে প্রভাবিত করে। মুখের ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায়গুলি ব্যথাহীন এবং উপসর্গবিহীন হয়, যার ফলে প্রথম পর্যায়ে বুঝতে পারা খুব কঠিন হয়ে যায়। গবেষণায় জানা গেছে, এই ক্যান্সারের প্রধান কারণ হল চিবানো তামাক এবং সুপারি। এছাড়া যারা অ্যালকোহল এবং তামাক উভয় সেবন করেন না তাদের থেকে যারা উভয়ই সেবন করেন তাদের মুখের ক্যান্সারের ঝুঁকি ৮ গুণ বেশি। সিগারেট, বিড়ি খাওয়া এবং সুপারি চিবানোও সমান ক্ষতিকর। কিছু অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে এইচপিভি ভাইরাস, খারাপভাবে ফিটিং ডেনচার।

ক্যান্সারের চিকিৎসা সাধারণ সার্জারির মাধ্যমে করা হয়, এছাড়া অ্যাডভান্সড ক্ষেত্রে রেডিয়েশন এবং কেমোথেরাপির মতো সহায়ক চিকিৎসা রয়েছে। ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং প্রাথমিক রোগ নির্ণয়ের চাবিকাঠি হল অভ্যাসের উন্নতি। যেকোনও সাদা বা লাল দাগ বা ব্যথাহীন আলসার হলে একজন অনকোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চিকিৎসা সম্পূর্ণরূপে রোগ নির্ণয়ের সময়ের উপর নির্ভর করে। মুখের ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে তা নিরাময় করা সম্ভব।