আম(Photo Credit: Pixabay)

আমরসেই(Mango Juice)পূর্ণতা পায় কামরস(Sex), না না কোনও ছন্দ মেলানোর বিষয় নয়। চিকিৎসকরাই এই তথ্য দিয়েছেন। যে হট অ্যান্ড হ্যাপনিং কাপল সারাদিন ঝগড়া করে কাটায় তাদেরও উচিত রাতে বিছানায় যাওয়ার পাকা আম খেয়ে ফেলা। ১০০ শতাংশ গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায়, পরের দিন সকালেই হাসতে হাসতে বিচানা ছাড়বে ওই দম্পতি। এমনকী, গলায় গলায় প্রেমও দেখা যাবে।

সত্যি কথা বলতে কী ফলের রাজা আমই(Mango) হল পুরষের যৌনক্ষমতা বৃদ্ধিকারী মহৌষধ। তাইতো রাতে আম খেয়ে ঘুমোতে গেলে শরীরী উৎসবে কোনওরকম ক্লান্তি আসবে না। আমকে অমৃতের ফল বলাটা একেবারেই অত্যুক্তি নয় কী বলেন তাইতো। বিজ্ঞান বলছে আমের প্রতি ফোঁটা রসে ভরপুর থাকে ভিটামিন-ই। তারুণ্য ধরে রাখতে ভিটামিন-ইর ভূমিকা সকলেরই জানা। ত্বকের চমক ও কমনীয়তা ধরে রেখে ভিটামিন-ই বয়সকে বেঁধে রাখে বলে জানলেও, যা জানেন না তা হল এই ভিটামিনের অন্য নাম ‘সেক্স’ ভিটামিন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেক্স হরমোনের(Sex Hormone) ভারসাম্য রাখাই ভিটামিন-ই’র প্রধান কারসাজি। আর এইভাবেই পুরুষের শুক্রাণুর সংখ্যা ও তার কর্মক্ষমতাকে বাড়াতে সাহায্য করে ফলের রাজা। শুধু পুরুষের যৌন জীবনই নয়, আমের রসে সতেজ হয়ে ওঠে মহিলাদের যৌন আবেদনও। বাড়তে থাকা বয়স, দৈনন্দিন জীবনের উদ্বেগ, কাজের চাপ, সবই হার মানে আমের মাধুর্যের কাছে।

তাই এই ভরা জৈষ্ঠে যদি প্যাচপেচে গরম থেকে রেহাই পেতে বিছানা বদলের চিন্তাভাবনা করে থাকেন তাহলে আম খেয়ে নিন। দেখবেন প্রিয় বিছানাকেই কত আপন মনে হচ্ছে। জানা গিয়েছে, আমের মাহাত্ম্যের কাছে হার মেনেছে যেকোনও কামবর্ধক ওষুধ। ভারতীয় উপমহাদেশে তো অনেক পুরুষকেই যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আম খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তা শুধু যৌন ক্ষমতাই বা বলি কেন ভিটামিন-ই ছাড়াও ভিটামিন এ ও সি রয়েছে আমে। তাই ত্বকে তারুণ্যে ভরিয়ে রাখতে এই ফলের ধারে কাছে কেউ আসতেই পারে না। যৌবন ধরে রাখতে রূপচর্চার অঙ্গ হিসেবেও আম খাওয়া যেতে পারে। আমের প্রতিটি কণা আপনাকে প্রেমের সাগরে ডুবিয়ে দেবে। হোক না তা দেহসৌষ্ঠব মুখী, ক্ষতি কি।