Lunar Eclipse Photo Credit: File Image

গত ২০ এপ্রিল একটি বিরল হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ চাক্ষুষ করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। ভাগ্যবান অনেক মানুষই সেই কিছুক্ষণের জন্য হলেও সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে পেরেছেন। সেই সূর্যগ্রহণের পর এবার চন্দ্রগ্রহণের পালা, যা ৫ মে দৃশ্যমান হতে চলেছে ভারতে। এই চন্দ্রগ্রহণ বিশ্বের একটা বড় অংশে দৃশ্যমান হবে।।

ভারতে দেখা যাবে?

পৃথিবী চাঁদের চেয়ে অনেক বড়, যার মানে প্রাকৃতিক উপগ্রহের থেকে এর ছায়াও অনেক বড়। এই কারণে, সূর্যগ্রহণের চেয়ে চন্দ্রগ্রহণ পৃথিবীর বেশি অংশে দৃশ্যমান হয়। 5 মে পৃথিবীর বেশিরভাগ অংশেই দেখা যাবে এই চন্দ্রগ্রহণ। ঠিক সেই সময় চাঁদ দিগন্তের উপরে থাকবে। ইন দ্য স্কাই-এর রিপোর্ট অনুসারে, এর মধ্যে অ্যান্টার্কটিকা, এশিয়া, রাশিয়া, আফ্রিকা এবং ওশেনিয়া অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।নয়াদিল্লি থেকে যদি দেখার চেষ্টা করা হয়, তাহলে তা আকাশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে দৃশ্যমান হবে। এটি সবচেয়ে বড় গ্রহণের সময় দিগন্তের প্রায় ৪০ ডিগ্রি উপরে পড়ে থাকবে।

৫ ই মে কখন গ্রহণ হতে চলেছে?

৫ মে ভারতীয় সময় সন্ধে ৮টা ৪৫ মিনিট থেকে পরের দিন অর্থাৎ ৬ মে সকাল ১টা ২ মিনিট সময়কালে চাঁদ পৃথিবীর ছায়ার মধ্য দিয়ে যাবে। এই সময়ের মধ্যেই গ্রহণ দৃশ্যমান হবে।

পেনাম্ব্রাল চন্দ্রগ্রহণ কী এবং ৫ মে এটিকে কেমন দেখতে লাগবে?

৫ মে যখন গ্রহণ হবে, তখন চাঁদ সূর্যের মতো পৃথিবীর বিপরীতে থাকবে না। এর অর্থ হল, সেখানে এমন একটি আমব্র্যাল বা ছায়া চন্দ্রগ্রহণ হবে না, যা সূর্যের আলো সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ হবে। আর্থস্কাই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ৫ মে গ্রহণের সময় পূর্ণ চাঁদ পৃথিবীর ছাতার দক্ষিণে বা তার অন্ধকার ছায়ায় থাকবে। এর ফলে চাঁদ সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ হওয়ার পরিবর্তে তার উজ্জ্বলতা হ্রাস পাবে। তা সত্ত্বেও, চাঁদের বেশিরভাগ চাকতি কিছুটা হলেও আলোকিত হবে।যেহেতু ৫মে-র গ্রহণ চাঁদের উজ্জ্বলতাকে অল্প পরিমাণে কমিয়ে দেবে, তাই এটি একটি সূক্ষ্ম ঘটনা হতে চলেছে যা আপনার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ছাড়া পর্যবেক্ষণ করা একটু কঠিন হবে।

এই গ্রহণ দেখবেন কীভাবে?

এই ধরনের পেনামব্রাল চন্দ্রগ্রহণ, যা 5 মে হতে চলেছে তা পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহের উপর সূক্ষ্ম প্রভাব ফেলে। এর মানে হল, ঘটনাটি প্রায় অদৃশ্য হয়ে যাবে যদি না আপনি গভীর মনোযোগ দেন। তবে এই চন্দ্রগ্রহণ কিন্তু সূর্যগ্রহণের মতো নয়। এটি আপনি সরাসরি খালি চোখে দেখতে পারেন এবং তা সম্পূর্ণ নিরাপদ। আপনি দুরবীন বা টেলিস্কোপের মত অপটিক্যাল যন্ত্র ব্যবহার করে চাঁদের দিকে তাকিয়ে সহজেই গ্রহণ চাক্ষুষ করতে পারেন।