দুর্গোৎসবের (Durga Puja) পর আশ্বিন মাসের (Aswin) শেষ পূর্ণিমা তিথিতে হয় কোজাগরী লক্ষ্মীর (Kojagari Laxmi Puja) আরাধনা। বাঙালির ঘরে ঘরে এ এক চিরন্তন প্রার্থনা। এদিন প্রতিটি বাঙালি ঘরেই দেবী লক্ষ্মীর পুজো হয়ে থাকে। বেশিরভাগ বাঙালিই বছর ভর প্রতি বৃহস্পতিবার (Thursday) লক্ষ্মীর পুজো করে থাকেন। এছাড়াও শস্য সম্পদের দেবী বলে ভাদ্র সংক্রান্তি, পৌষ সংক্রান্তি ও চৈত্র সংক্রান্তিতে এবং আশ্বিন পূর্ণিমা ও দীপাবলীতে (Diwali) লক্ষ্মীর পুজো হয়। আজ রবিবার (Sunday)। আজ এই বছরের লক্ষী পুজোর দিন। জানা আছে কোজাগরী লক্ষী পুজোর তাৎপর্য? না জানলে লক্ষী পুজোর সকালেই জানুন এক ক্লিকে-
লক্ষ্মী হলেন ধন সম্পত্তির দেবী। ধন সম্পদের আশায় ঘরে ঘরে লক্ষী দেবী পূজিতা হয়ে থাকেন। কিন্তু কোজাগরী লক্ষীর পুজো হয় কেবল মাত্র আশ্বিন মাসের শেষ পূর্ণিমা তিথিতে। 'কোজাগরী' শব্দটির উৎপত্তি 'কো জাগতী' অর্থাৎ 'কে জেগে আছ' কথাটি থেকে। বলা হয়, 'যার কিছু (সম্পত্তি) নেই সে পাওয়ার আশায় জাগে, আর 'যার আছে (সম্পত্তি) যে না হারানোর আশায় জাগে'। আর সারারাত জেগে লক্ষ্মীর আরাধনা (Worship) করাই এই পুজোর বিশেষ আচার। কথিত আছে, কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমার দিন দেবী রাত্রে খোঁজ নেন - কে জেগে আছেন? এই রাতে যে জেগে অক্ষক্রীড়া (পাশা খেলা) করে, কোজাগরী তাঁকেই ধন-সম্পদ প্রদান করেন। আরও পড়ুন: Laxmi Puja 2019: আগামীকাল কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো; নির্ঘণ্ট জেনে নিন এক ক্লিকে
উল্লেখ্য, খারিফ শস্য ও রবি শস্য ঠিক যে সময় হয় ঠিক সেই সময় বাঙালি হিন্দু মেতে ওঠে লক্ষ্মীর আরাধনায়। তবে পুজোর উপাচারে পরিবর্তন হয় মাস ভেদে। ঘরে ঘরে প্রতি বৃহস্পতিবারে লক্ষ্মীর পাঁচালি (Panchali) পাঠ করে তাঁর আরাধনা করা হয়। উপচারে ফল মিষ্টি ছাড়াও থাকে মোয়া, নাড়ু ইত্যাদি। লক্ষ্মীর আচার অনুষ্ঠানেও দেখা যায় নানা ধরনের তাৎপর্য (Significance)। কোনও কোনও পরিবারে পুজোয় মোট ১৪টি পাত্রে উপচার রাখা হয়। কলাপাতায় টাকা, স্বর্ণ মুদ্রা, ধান, পান, কড়ি, হলুদ ও হরিতকী দিয়ে সাজানো হয় পুজো স্থানটিকে।