নিউ বারাকপুর, ৩০ অক্টোবর: দুর্গাপুজো (Durga Puja) শেষে সিঁদুর খেলা (Sindoor Khela)। উৎসবের শেষে বাঙালির তেরো পার্বণের তালিকায় ঠিক যেন নতুন করে জায়গা করে নেওয়া হাল ফ্যাশনের (Fashion) আরও একটা উৎসব। কিন্তু তাই বলে কালীপুজোয় (Kali Puja) সিঁদুর খেলা! এও আবার হয় নাকি? এই ভাবনার ওপারে গিয়ে মা কালীর আরাধনায় আলাদা করে নিজেদের তুলে ধরতে এমন নয়া রেওয়াজের পত্তন করল নিউ বারাকপুরের (New Barrackpore) নব বারাকপুর যাত্রিক ক্লাব (Naba Barrackpore Jantrik Club)। ভাইফোঁটার (Bhai Phonta) পরের দিন অর্থাৎ আজ বুধবার ক্লাবের সকল সদস্য থেকে পাড়ার সক্কলে মেতে উঠলেন নতুন উৎসবে। কালীপুজোয় সিঁদুর খেলায়।
আর এই নতুন ভাবনার নেপথ্যের রহস্য এদিনই লেটেস্টলি বাংলার (LatestLY Bangla) কাছে তুলে ধরলেন ক্লাবের সভাপতি ভোলা ভট্টাচার্য (Bhola Bhattacharya) নিজেই। এদিন ভোলাবাবু জানান, "দুর্গাপুজোয় সিঁদুর খেলা হয়। কালীপুজোতেও মায়ের বিদায়ের সময় মাকে বরণ করার রেওয়াজ আছেই। কিন্তু 'সিঁদুর খেলা' বলে আলাদা করে কিছু হয় না। আমাদের ভাবনা ছিল এটাকেই বাস্তব করে দেখানো। আমাদের এলাকায় যেহেতু কালীপুজোটাই বড় করে অনুষ্ঠিত হয়, তাই নতুন কিছু করার চেষ্টা করেছি।" ভোলাবাবু জানিয়েছেন তাঁদের ক্লাবের পুজো ৫৫ বছরের পুরনো। তবে কালীপুজোয় সিঁদুর খেলার ভাবনা এই প্রথম। শান্তিনিকেতন থেকে প্রায় আড়াই কেজি সিঁদুর (Sindoor) আনা হয়েছে। দাম পড়েছে ৫ হাজার টাকা। তাদের পুজোর সর্বমোট বাজেট (Budget) ৫০ হাজার টাকা। আরও পড়ুন: Kolkata Air Pollution on Kali Puja: কালীপুজোর রাতে কলকাতায় শব্দদূষণের সঙ্গে বায়ুদূষণের দাপট
জানা গিয়েছে, পাড়ার প্রায় ৭০০ মহিলা সামিল হয়েছিলেন এদিন সিঁদুর খেলার অনুষ্ঠানে। পুজোয় বিভিন্ন রকম সমাজ কল্যাণমূলক কাজ (Social work) করে থাকে নিউ বারাকপুরের নব বারাকপুর যাত্রিক ক্লাব। এবারেও তাদের ক্লাবের তরফ থেকে দুঃস্থদের বস্ত্র বিতরণ, রক্তদানের (Blood Donation) মত কাজে নিজেদের এগিয়ে দিয়েছিল তারা।