ফাইল ছবি

বর্ষার মরশুম (Moonsoon) পেরিয়ে শারদীয়া অতিক্রান্ত। ভোরবেলায় হাত আপনা থেকেই চলে যাচ্ছে পাশে রাখা চাদরটার সঙ্গে ভাব জমাতে। আবহাওয়া (Weather) যখন এইরকম তখন বাংলায় কালীপুজোর (Kali Puja) হাত ধরে তিনিও এসে হাজির। সন্ধে গড়ালেই আলোর সঙ্গে তার প্রেম (Affair) শুরু। মা কালীর (Ma Kali) নামের সঙ্গে সংযোগ থাকলেও তার কী ব্যাখ্যা, রহস্য স্পষ্ট নয়। বলছি শ্যামাপোকার (Shyamapoka) কথা। যার পোশাকি নাম ‘ফায়ার ক্যাচার (Fire Catcher)।’ যাইহোক, একটা বিষয় খেয়াল করে দেখেছেন কী! এই বছর আর আপনার চারপাশে দেখা নেই সবুজ এই ক্ষুদে দৈত্যেদের। তার উৎপাত থেকে মুক্ত আপনার ঘরের আলো থেকে সন্ধের জানালা।

কোথায় গেলেন তিনি? অক্টোবর পেরিয়ে নভেম্বর এসে হাজির কিন্তু তার দেখা নেই। প্রাণীবিদরা জানাচ্ছেন, শ্যামাপোকা মূলত ধান বা ঘাসজাতীয় উদ্ভিদ নির্ভর পোকা৷ উদ্ভিদেই এদের ডিম (Egg) পাড়া থেকে শুরু করে লার্ভা ও পিউপা দশা পেরিয়ে পূর্ণাঙ্গ দশার প্রাপ্তি হয়৷ ফসলের ক্ষতি করে এমন পোকাদের সমূলে বিনাশ করতে এখন যে পরিমাণে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়, তাতেই বিপন্ন হয়ে পড়ছে শ্যামাপোকার অস্তিত্ব। তাছাড়া জলবায়ুর পরিবর্তন (Weather Change) তো একটা বড় কারণ বটেই। তবে শ্যামাপোকা অদৃশ্য হওয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ শহরে সবুজের অভাব। প্রজনন করতে শ্যামাপোকার চাই সবুজ (Green)। কিন্তু এ শহরে আর তেমন ফাঁকা জায়গা কই? তাই বংশবিস্তার না করতে পেরে হারিয়ে যাচ্ছে শ্যামাপোকারা। শহর থেকে নির্মূল করে ফেলা হচ্ছে ঘাসজমি৷ ঘরে ঘরে টিউবলাইটের (Tubelight) জায়গা নিচ্ছে সিএফএল (কমপ্যাক্ট ফ্লুয়োরোসেন্ট লাইট)৷ ফলে ঝাড়ে-বংশে উধাও শ্যামাপোকার দল৷ আরও পড়ুন: Dhanteras 2019: কাল ধনতেরসের আগে রাতারাতি দাম কমল সোনার, জানুন কত দাম হল

ফি বছর কালীপুজোর আগে সন্ধেবেলায় ঘরে আলো জ্বালালে টেকা দায় হত৷ ফিকে সবুজ গায়ে কালো বুটিওয়ালা এই পোকার হাত থেকে নিস্তার পেতে দোকানের সামনের আলো সবুজ-সাদা সেলোফেনে মুড়ে দেওয়াই ছিল পরিচিত ছবি৷