আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা সম্পর্কে আমরা প্রত্যেকেই সচেতন, বর্ষাকালে বৃষ্টি হবেই এমন ভাবনা আজকাল কেউ মাথায় রাখেন না।ঋতুচক্রের এহেন পরিবর্তনের ছাপ প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষের উপরেও বর্তাবে এটাই স্বাভাবিক, হয়েছেও তাই।গরমে যখন ভাজাভাজা হয়ে দিনের শেষে বাড়ি ফিরছেন, বিছানায় প্রেয়সীকে পাওয়ার ইচ্ছেটাও উড়ে যাচ্ছে, তখন ক্লান্তি ভেবে ঘুমিয়ে পড়বেন না যেন।গবেষণা বলছে আবহাওয়ার উলটপূরাণেই যৌন ইচ্ছে কমছে।তাহলে কী করা যাবে, ফের চিকিৎসকের কাছে দৌড়নো ছাড়া গতি নেই।আরে এতো ভাবছেন কেন, প্রকৃতি তো আমাদের কম দেয়নি, সেই সম্পদের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে সমস্যা সমাধানের উৎস।একবার শুধু জানতে হবে তাহলেই কার্যসিদ্ধি।
একটা সময় পর্যন্ত ঠান্ডা লাগলে মায়েরা সাতসকালেই মধু খাইয়ে দিতেন। তুলসী পাতার(Basil Leaves) সঙ্গে শীতকালে মধু মিশিয়ে খাওয়া চলে। শীতকালে ঠান্ডা লাগার হাত থেকে বাঁচার এই মহৌষধই আসলে ভালথাকার চাবিকাঠি। জানেন কি মধু খেলে যৌন ইচ্ছে বেড়ে যায়, নারী পুরুষ উভয়েই কামাতুর হয়ে ওঠে।গবেষণা বলছে, পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে যৌন স্বাস্থ্য বৃদ্ধিতে মধুর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। পুরুষ শরীরে টেস্টোস্টেরন(Testosterone) হরমোন ক্ষরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মধু। অন্যদিকে, মধুতে উপস্থিত খনিজ পদার্থের তালিকায় রয়েছে বোরন। যা স্ত্রী দেহে ইস্ট্রোজেন হরমোন ক্ষরণে উদ্দীপক হিসাবে কাজ করে। আর এই টেস্টোস্টেরন ও ইস্ট্রোজেন (Estrogen hormone)– দুইই সেক্স হরমোন।
তিন আউন্স মধু(Honey) দেহের নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই রাসায়নিক শরীরের রক্তবাহের স্ফীতি ঘটিয়ে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি করে। রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধিতে শরীর যেমন চনমনে হয়ে ওঠে, তেমনই যৌন উত্তেজনা বাড়ে। একই সঙ্গে যৌনাঙ্গে রক্তপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ায়, তার স্বাস্থ্য বৃদ্ধিও হয়। পাশাপাশি বাড়ে যৌন ক্ষমতাও। ভারতীয় বিয়ের রীতিতে স্ত্রীর স্বামীকে মধু খাওয়ানোর রেওয়াজ শুধুই জীবন মধুময় হওয়ার প্রতীক হিসাবে নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, দাম্পত্যের শুরু থেকেই জীবন উষ্ণতায় পরিপূর্ণ করে তোলাও এর অন্যতম লক্ষ্য।