প্রতি বছর ১ নভেম্বর পালন করা হয় বিশ্ব ভেগান দিবস বা বিশ্ব নিরামিষ দিবস। মানুষকে নিরামিষ জীবনধারা অনুসরণ করতে অনুপ্রাণিত করার জন্য পালন করা হয় এই দিনটি। ডিম, মাংস, দুধ, মধুর মতো প্রাণীজ খাদ্য পণ্য গ্রহণের পরিবর্তে নিরামিষ ডায়েট অনুসরণ করার কথা তুলে ধরা হয় এই দিনে। ১৯৯৪ সালে যুক্তরাজ্যের ভেগান সোসাইটির তৎকালীন সভাপতি লুইস ওয়ালিস দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিশ্ব নিরামিষ দিবস। সংস্থাটি প্রতিষ্ঠার ৫০ তম বার্ষিকী এবং "ভেগান" ও "ভেগানিজম" শব্দগুলির প্রবর্তনের স্মরণে পালন করা শুরু হয় এই দিনটি।

নিরামিষভোজীরা উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাদ্য খেতে পছন্দ করে। এই দিনটি পালন করা হয় যাতে মানুষ নিরামিষ খাবার খাওয়ার আগ্রহ বাড়ায় এবং একই সঙ্গে পরিবেশেরও উপকার করে। ভেগান শব্দটি ডোনাল্ড ওয়াটসনের ভেজিটেরিয়ান শব্দ থেকে নেওয়া হয়েছে। বিশ্ব নিরামিষ দিবসের উদ্দেশ্য হল স্বাস্থ্যকর জীবনধারা এবং সুস্থতার প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা। নিরামিষভোজী হল একটি নৈতিক জীবনধারা যা গ্রহ এবং প্রকৃতির মঙ্গলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। নিরামিষ জীবনের অনেক বিশেষত্ব রয়েছে, এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং পরিবেশ সুরক্ষিত থাকে।

নিরামিষ জীবনযাত্রার মাধ্যমে অনেক গুরুতর রোগও সেরে যায়। নিরামিষ ডায়েটে থাকে বেশি ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং শরীরের জন্য উপকারী পুষ্টি উপাদান। এছাড়া এই খাবারে উচ্চ পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফোলেট, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই থাকে। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরামিষাশী হওয়ার কারণে হৃদয় সুস্থ থাকে। নিয়মিত ফলমূল ও শাকসবজি খেলেও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। কোনও কারণে ওজন বেড়ে গেলে নিরামিষ খাবার গ্রহণ করে ওজন নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব। নিরামিষ খাবার উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।