মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার জন্য প্রতি বছর ১০ অক্টোবর পালন করা হয় বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। মানসিক চাপ, বিষণ্ণতা, দুশ্চিন্তা এই সমস্ত সমস্যাগুলির চাপ শরীর খুব বেশি সহ্য করতে পারে না এবং সময়মতো প্রতিকার না করা হয় তবে বিভিন্ন রোগের শিকার হয় শরীর। কোভিডের পরে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব বুঝতে পেরে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোলামেলা কথা বলা শুরু হয়।
বর্তমান যুগে মানসিক সমস্যার শিকার হতে শুরু করেছে শিশুরাও। এই কারণে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে কথা বলা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ১৯৯২ সালে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালন করা শুরু করে জাতিসংঘ। ১৯৯৪ সালে জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব এই দিনটি পালন করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। বিশ্বব্যাপী এই দিনটি পালন করার উদ্দেশ্য হল মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে জানানো এবং সচেতন করা, কারণ মানসিক স্বাস্থ্য সরাসরি শারীরিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত।
মানসিকভাবে ফিট না থাকলে শারীরিকভাবে ফিট থাকাও সম্ভব নয়। তা সত্ত্বেও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে কথা বলার পরিবর্তে এই বিষয়টি উপেক্ষা করতে বেশি পছন্দ করে মানুষ। যুগ এত আধুনিক হওয়ার পরও মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যেকোনও সমস্যাকে পাগল বলে মনে করে মানুষ। তাই যাদের সমস্যা হয় তারা মুখ বন্ধ রেখে নিজের মধ্যেই সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। তবে এই সমস্যাটি লুকিয়ে না রেখে, এই সমস্যাটিকে উপেক্ষা না করে, এটির দিকে মনোযোগ দেওয়া খুবই জরুরি।