প্রতি বছর ১ আগস্ট গোটা বিশ্বে পালন করা হয় 'বিশ্ব ফুসফুস ক্যান্সার দিবস'। বিশ্ব ফুসফুস ক্যান্সার দিবস পালন করার মূল উদ্দেশ্য হল ফুসফুসের ক্যান্সার সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা। সবচেয়ে সাধারণ ক্যান্সার এবং বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার মৃত্যুর কারণ হল ফুসফুসের ক্যান্সার। ফুসফুসে ক্যান্সার হওয়ার প্রধান কারণ হল তামাক ও ধূমপান। WHO এর মতে, ধূমপান সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে ফুসফুস, যার ফলে ফুসফুসে ক্যান্সার হয়। তবে ধূমপান না করলেও ফুসফুসের ক্যান্সার হতে পারে, সেখানে কারণ হয় বায়ু দূষণ, নিষ্ক্রিয় ধূমপান, অ্যাসবেস্টসের সংস্পর্শে আসা, রেডন গ্যাস এবং ডিজেলের ধোঁয়া।
২০১২ সালে ফর্ম অফ ইন্টারন্যাশনাল রেসপিরেটরি সোসাইটি (FIRS) এবং ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডি অফ লাং ক্যান্সার (IASLC) দ্বারা পালন করা শুরু হয় বিশ্ব ফুসফুস ক্যান্সার দিবস। সেই থেকে প্রতি বছর ১ আগস্ট পালন করা হয় বিশ্ব ফুসফুস ক্যান্সার দিবস। এই বিশেষ দিনে বিশ্বের সমস্ত স্বাস্থ্য সংস্থা, চিকিৎসক, গবেষক এবং আইনজীবীরা এই মারাত্মক রোগ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে প্রচার এবং স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করে। প্রতি বছর একটি বিশেষ থিমের মাধ্যমে পালন করা হয় এই দিনটি। ২০২৪ সালে বিশ্ব ফুসফুস ক্যান্সার দিবসের থিম হল “যত্নের ব্যবধান পূরণ করুন: ক্যান্সারের যত্ন নেওয়ার অধিকার সবার আছে”।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ফুসফুসের ক্যান্সারের কারণে প্রতি বছর মৃত্যু হয় ১.৬ মিলিয়ন মানুষের। ফুসফুসের ক্যান্সারের ক্রমবর্ধমান মামলার কারণে প্রতি বছর ১ আগস্ট পালন করা হয় বিশ্ব ফুসফুস ক্যান্সার দিবস। এছাড়া ফুসফুস সম্পর্কিত রোগ এবং ক্যান্সার সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য পালন করা হয় এই দিনটি। এই বিশেষ দিনে, সারা বিশ্বের মানুষের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সার সম্পর্কে তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আয়োজন করা হয় স্বাস্থ্য প্রচারাভিযানের। এই প্রচারাভিযানে জনগণকে ফুসফুসের রোগের কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা ও ফুসফুসের ক্যান্সারের ওষুধের বিকল্প সম্পর্কেও তথ্য দেওয়া হয়।