কনকনে ঠান্ডা পড়তে এখনও দিন পনেরো দেরী আছে বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কবি ভাস্করের অপেক্ষার অবসান ঘটতে ডিসেম্বরের (December) মাঝামাঝি হয়ে যাতে পারে বলেই খবর। কিন্তু নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকেই ভোরে কুয়াশা থেকে শীত শীত ভাব অনুভূত হচ্ছে। এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উধাও হয়ে যাচ্ছে সেই আমেজ। শীত পোশাকের দরকার পড়ছে না। এই এতসবের মধ্যে এখনই হাতে-পায়ে কেমন যেন একটা খসখসে ভাব অনুভূত হচ্ছে।
তাই শীত আসার আগেই জেনে নিন কীভাবে রুক্ষ-শুস্ক ত্বকের (Skin) পরিচর্যা করবেন। সমাধানের আগে জানা উচিৎ শীত পড়লে ত্বক নিয়ে ঠিক কী কী ধরণের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়।
১. শীত পরলেই প্রথমে যা হয় তা হল আর্দ্রতার অভাবে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া। নখের হাল্কা আঁচর লাগলেই সাদা সাদা দাগ ফুটে ওঠা। এমন সমস্যায় মানুষজনের সামনে খোলা ত্বক নিয়ে বেরনোই মুশকিল হয়ে পড়ে।
২. সেনাইল জেরোটিক প্রুরাইটাস বা সারা গা শুকিয়ে চুলকানির তৈরি হয়। চল্লিশোর্ধ্বদেরই ক্ষেত্রেই এর ঝুঁকি বেশি।
ইকথায়োসিস বা হাঁটু থেকে পা পর্যন্ত এমনকি সর্বাঙ্গ শুকিয়ে খোসার মতো আঁশ উঠতে থাকে। সারা বছর থাকলেও এর প্রকোপ বাড়ে শুষ্ক শীতকালেই।
৩. সোরাইসিস বা সোরিওসিসের সমস্যা। এই রোগে মাথা, হাঁটু, কনুই সহ সারা শরীরে মাছের আঁশের মতো খোসা ওঠতে থাকে।
৪. যেসব শিশুদের অ্যাটোপিক ডার্মাটাইসিস বা এগজিমা রয়েছে, তাদের এই রোগ বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে শীতে।
৫. অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, উলের পোশাক অর্থাৎ সোয়েটার, মাফলার, টুপি ইত্যাদি থেকে অ্যালার্জির সমস্যা হয়। আসলে সিনথেটিক উল সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শে এসে অ্যালার্জির সৃষ্টি করে। আরও পড়ুন: Scrub Typhus In Your Lingerie: অন্তর্বাসের ভাঁজেই বাসা বাঁধছে স্ক্র্যাব টাইফাস! জ্বর হলেই গোপনাঙ্গ পরীক্ষার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা
এবার জানুন সমস্যার সমাধান-
১. প্রথমেই খেয়াল রাখুন যাতে সবসময় আপনার ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকে। স্নানের আগে নারকেল তেল (Coconut Oil) বা অলিভ অয়েল মাখুন। তবে সর্ষের তেল একেবারেই ব্যবহার করবেন না।
২. স্নানের পরে এবং রাতে ঘুমানোর সময় অন্তত দু’বার ময়েশ্চরাইজার মাখুন।
৩. ঠোঁট ফাটার সমস্যায় ভেসলিন ব্যবহার করুন।
৪. শীতকালে স্নানের সময় সাবান ব্যবহার না করাই ভাল। সাবানে চামড়ার ওপর থেকে তেলের স্তর ওঠে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। সেক্ষেত্রে ব্যব হার করতে পারেন বডি ওয়াশ। শীতকালে জীবানুনাশক সাবান একেবারেই ব্যবহার করবেন না। এতে ত্বকের ক্ষতির পরিমান বেড়ে যায়।
৫. ফল, ভিটামিন সমৃদ্ধ শাকসবজি খান।
৬. প্রচুর পরিমানে জল খান, এর ফলে শরীরের আদ্রতা বজায় থাকবে।
৭. ছোটদের তেল মালিশ করা যেতেই পারে। তবে সর্ষের তেল মাখিয়ে রোদে ফেলে রাখার যে রীতি প্রচলিত রয়েছে, তা ত্যাগ করুন আজই।
৮. সুতির পোশাক ব্যবহার করুন, উলের পোশাক সরাসরি না ব্যবহার করাই ভাল। হালকা সুতির জামার ওপর উলের পোশাক ব্যবহার করা উচিত।